ডিমের বাজার অস্থিতিশীল। টালমাটাল এই পরিস্থিতির দায় নিতে রাজি নন উৎপাদকরা। তাদের দাবি, বাজার কারসাজিতে জড়িত পাইকার ও আড়তদাররা। তবে সরকারের সামান্য আন্তরিকতা দাম কমিয়ে আনতে পারে ১০ টাকার নিচে। এক বিক্রেতা জানান, ১ হালি ডিমের দাম এখন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা হয়ে যাওয়ায় ক্রেতারা আর তা কিনতে চাচ্ছে না। এক ক্রেতা জানান, এক বছর আগে ১ হালি ডিম কিনেছি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দিয়ে। আর এখন দাম ৬০ টাকা। আমাদের আয় তো আর বাড়ে না। কিন্তু এই অস্থিতিশীল বাজারের দায় কোনোভাবেই নিতে রাজি নন উৎপাদকরা। বলেছেন, সাড়ে ১০ টাকায় উৎপাদিত ডিম তারা বিক্রি করছেন মাত্র ১ টাকা লাভে সর্বোচ্চ সাড়ে ১১ টাকায়। বাংলাদেশ পোলট্রি শিল্প সেন্ট্রাল কাউন্সিল সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, খামারিরা এত কষ্ট করে ডিম প্রতি মাত্র ৫০ পয়সা লাভ করবে, আর ব্যবসায়ীরা কোনো পরিশ্রম না করেই শুধু বিনিয়োগ করে দেড় থেকে ২ টাকা মুনাফা করবে- এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। ডিমের উৎপাদন খরচ নিয়ে একই দাবি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের। তিনি জানান, খুচরা বিক্রিতে ডিম প্রতি দাম কোনোভাবেই ১২ টাকার বেশি নির্ধারিত হওয়া উচিত নয়। এই দরে বিক্রি করলেও উৎপাদকদের লাভ হবে। আমরা আশা করি, ১২ টাকার মধ্যেই মূল্য রেখে উৎপাদকরা ডিম বিপণন করবেন। পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে উৎপাদন খরচ কেন বেশি? একটি গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নে খরচ কমানোর উপায়ও বাতলে দেন এক উৎপাদক। তার দাবি, সরকারের এক সিদ্ধান্তেই ডিমের দাম নেমে আসতে পারে ১০ টাকার নিচে। বাংলাদেশ পোলট্রি শিল্প সেন্ট্রাল কাউন্সিল সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বিকল্প কাঁচামাল ব্যবহার করে। ফলে রেয়ার ফিডের উৎপাদন খরচ কমে যায়। ডিমের উৎপাদন খরচ কমাতে আমাদের এই কাঁচামাল ভারত থেকে আমদানি করতে হবে। একে প্রাধান্য দিলে সাশ্রয়ী দামে গ্রাহকদের হাতে ডিম পৌঁছে দেয়া যাবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার জন্য নিশ্চিত করতে হবে সুষম খাদ্য। কম দামে উৎপাদন করা গেলে সস্তা উৎস হিসেবে আবারও ফিরতে পারে ডিম।