৭ টাকার ডিম বাজারে ১৪ টাকা

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সুনির্দিষ্ট নয়, উৎপাদিত পণ্যের বিক্রয়মূল্যে লভ্যাংশ কতটুকু হবে- তাও উল্লেখ করতে হবে। তবে পণ্য খুব বেশি চললে বা বাজারে পণ্যের ধারাবাহিক চাহিদা থাকলে, সেটিতে কেউ সচরাচর ২০ থেকে ৩০ শতাংশের বেশি লাভ করেন না। অর্থাৎ, বেশি চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের উৎপাদন খরচ ১ টাকা হলে সেটি সর্বোচ্চ ১ টাকা ৩০ পয়সায় বিক্রি হয়। কিন্তু সম্প্রতি একেবারেই ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে মুরগির ডিমের দামে। একটি ডিম উৎপাদনে সর্বোচ্চ ৭ টাকা খরচ পড়লেও ওই ডিম প্রতি পিস খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকায়। এই হিসাবে বাজারে এখন প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে উৎপাদন খরচের দ্বিগুণ দামে। ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা অধিক মুনাফার লক্ষ্যে ডিমের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাই উৎপাদনের দ্বিগুণ দামে ডিম কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি এবং বড় কোম্পানিগুলো। তারাই ডিমের দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। যে কারণে খামারি পর্যায়ে দাম বাড়ছে, যার প্রভাব আবার পড়ছে ভোক্তা পর্যায়ে।

পাহাড়তলী বাজারের ডিম ব্যবসায়ী দেলোয়ার বলেন, ‘ডিমের দাম বৃদ্ধির পেছনে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই। আমরা যেই দামে কিনে আনি, তার চেয়ে ১০ থেকে ২০ পয়সা বেশি দামে বিক্রি করি। বড় প্রতিষ্ঠানগুলো সিন্ডিকেট করে খামারি পর্যায়ে দাম বাড়িয়ে দেয়। খামারি পর্যায়ে এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়। তাদের কাছ থেকে কিনে আমরা বিক্রি করছি ১২ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২০ পয়সায়। এরপর খুচরা পর্যায়ে গিয়ে সেই ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকায়। মুরগি লালন-পালনকারী খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি লেয়ার মুরগি সাড়ে ৬ মাস থেকে ডিম দেওয়া শুরু করে। এরপর সাত থেকে আঠার মাস পর্যন্ত এক নাগাড়ে ডিম দেয়। কোনো খামারে ১০০টি লেয়ার মুরগি থাকলে সেখান থেকে গড়ে প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০টি ডিম পাওয়া যায়।