ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাড়ছে দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা

বাড়ছে দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা

যেসব নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা ভালো সেগুলোকে গ্রিন, মাঝারি অবস্থায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইয়েলো ও দুর্বল অবস্থায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রেড জোনে ভাগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের স্ট্রেস টেস্ট রিপোর্ট অনুসারে, গত বছর মোট ৩৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪টি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) ‘রেড জোন’ বা দুর্বল অবস্থানে ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট ২০২২-এ বলা হয়, ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২। গত বছর ৭ নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ‘ইয়েলো জোন’ ও ১৪টি ‘গ্রিন জোনে’ ছিল। যেসব নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা ভালো সেগুলোকে ‘গ্রিন’, মাঝারি অবস্থায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘ইয়েলো’ ও দুর্বল অবস্থায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘রেড জোনে’ ভাগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ২১টি নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান চাপে থাকলেও তারা স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে। তবে ১৪টি প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার কারণে সেগুলো ঝুঁকিতে আছে। প্রতিবেদনে নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়নি। ২০২০ সাল থেকে, ভালো অবস্থানে থাকা নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ক্রমাগত কমছে এবং খারাপ অবস্থায় থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ২০২০ সালে ভালো অবস্থায় থাকা নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৮টি। ২০২১ সালে ১৬ ও ২০২২ সালে তা ১৪-য় নেমে আসে। অন্যদিকে, ২০২০ সালে দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১৩ এবং ২০২১ সালে তা কমে হয় ১২টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার জন্য বেশিসংখ্যক ঋণগ্রহীতার অর্থ পরিশোধ না করাকে দায়ী করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত