কাস্টমসের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ’র হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

রপ্তানির আগে কার্টন থেকে পণ্য বের করে ওজন ও কাঁচামাল আমদানিতে এইচএস কোড জটিলতা নিয়ে কাস্টমসের সঙ্গে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা হয়রানির অভিযোগ এনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে চিঠি দিয়েছে বিজিএমইএ। সম্প্রতি গোপনে ধারণ করা মোবাইল ক্লিপে দেখা যায়, নগরীর একটি প্রাইভেট আইসিডিতে রপ্তানিযোগ্য গার্মেন্টস পণ্যের কার্টন খুলে প্রতিটি আইটেম ওজন করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে বিল অব এন্ট্রি এবং বিল অব এক্সপোর্টের নথি’র সঙ্গে পণ্যের বিবরণও মিলিয়ে দেখছে। কাস্টমসের এ কাজটিকে হয়রানি হিসেবেই চিহ্নিত করেছে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ।

চট্টগ্রামের ৩ থেকে ৪টি প্রাইভেট আইসিডিতে কাস্টমসের এ ধরনের হয়রানি চলছে বলে অভিযোগ সংগঠনটির। এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, আমাদের এক কার্টনের মধ্যে ৩ থেকে ৪টি সাইজ থাকে। ওইখানে থেকে না বুঝে যদি একটি সাইজ নেয়া হয়, তাহলে আবার সেটি তাদের বুঝানো যায় না।তাই আমরা চাই কাস্টমস এই দিকে একটু নজর দিক। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে দেয়া পৃথক দুইটি চিঠিতে শুধু কার্টন খুলে পণ্য ওজন করে দেখাই নয়, কাস্টমস এবং বন্ডের বিরুদ্ধে অন্তত ১০টি অভিযোগ এনেছে বিজিএমইএ। কাস্টমস এবং বন্ডের হয়রানি বেশি হচ্ছে, এমন অভিযোগ করে বিজিএমইএ’র সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি এসএম আবু তৈয়ব বলেন, বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন এক্সোসরিজ আসছে। এগুলোকে এইচএস কোডের যাতাকলে ফেলে আমাদের ভোগান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।

‘বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, এখন সংকটের সময়। এখন আমরা যখন যে অর্ডার পাচ্ছি, সেটি নিচ্ছি।