আবারও কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। কয়েক দিন পেঁয়াজের দাম বাড়তি থাকার পর গত বুধবার (১৬ আগস্ট) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনেই রেকর্ড ৬১টি ট্রাকে ১ হাজার ৮৩৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এতে করে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় দুই দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ৪ টাকা করে কমেছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের দাম কমায় খুশি বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ইন্দোর, নাসিক ও নগর এই তিন জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।
দুই দিন আগেও বন্দরে প্রতি কেজি ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৪৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে তা কমে ৩৯ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নাসিক ও নগর জাতের পেঁয়াজ ৪৯ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা আইয়ুব হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৩২ টাকার মধ্যেই উঠানামা করছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কমে যাওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দামটা বাড়তে শুরু করে। দাম বেড়ে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৪৩ টাকা আর নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৪৯ টাকায় উঠে যায়। বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ায় কিছুদিন ধরেই পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে ভারতের নাসিক অঞ্চলে বন্যা হওয়ার ফলে ভারতের বাজারেই পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় খানিকটা বাড়তি ছিল। বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করায় দেশের বাজারেও পেঁয়াজের দাম বাড়তি ছিল।
দেশের বাজারে পেঁয়াজের এই বাড়তি চাহিদাকে ঘিরে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বাড়িয়েছেন বন্দরের ছোট বড় আমদানিকারকরা।
ফলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি আগের তুলনায় বেড়েছে। যার কারণে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে পেঁয়াজের আমদানি আগের তুলনায় বেড়েছে। বন্দর দিয়ে গত কয়েক দিন ৪০ থেকে ৪২ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও গতকাল বন্দর দিয়ে একদিনেই ৬১টি ট্রাকে ১ হাজার ৮৩৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।