অসাধু ব্যবসায়ীদের মধ্যে কৃত্রিম উপায়ে দাম বাড়ানোর প্রবণতা আছে। তার বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ায়। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেছেন, সম্প্রতি ডিমের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে সরকারের উচিত ছিল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডিম আমদানির অনুমিত দেওয়া। তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের মাঝে কৃত্রিম উপায়ে দাম বাড়ানোর প্রবণতা আছে।
তার বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ায়। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমদানির অনুমতি দেওয়া হলে ভোক্তাদের ভোগান্তি কমবে। পোলট্রি খামারিদের স্বার্থ যেমন রক্ষা করতে হবে, তেমনি ভোক্তাদের স্বার্থও দেখতে হবে, শুধু কথায় সীমাবদ্ধ রাখা উচিত নয়।’ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে প্রতি ডজন ১৬৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে গোলাম রহমান বলেছিলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে, এক ডজন ডিমের দাম ১ কেজি ব্রয়লার মুরগির সমান হতে পারে।’ গত ১৩ আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছিলেন, দেশে বর্তমানে ডিম উৎপাদনে খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ টাকা ৫০ পয়সা। তাই খুচরা পর্যায়ে একটি ডিম ১২ টাকায় বিক্রি হলে সবাই লাভবান হবে। ডিমের রেকর্ড দাম বৃদ্ধির ফলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে অভিযান শুরু করলে দাম কমতে শুরু করে। গতকাল ঢাকার বিভিন্ন বাজারে এক ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৯ টাকায়। ক্যাব সভাপতি জানান, বর্তমানে ব্যবসায়ীদের ডিম আমদানির জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়। এছাড়া চাল ও পেঁয়াজ আমদানিতে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়।’
কিন্তু, আমি মনে করি না মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে এ ধরনের ব্যবস্থার প্রয়োজন। সরকারের উচিত বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করা- বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা যখন দেখবেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে, তখন যদি তারা এসব পণ্য আমদানি করতে পারেন, তাহলে বাজারে দাম কমতে পারে। এতে ভোক্তারা সব সময় ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবেন এবং ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়ের স্বার্থ রক্ষা হবে।’