ফের সাত পণ্যের কোটার প্রস্তাব পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

চাল, গম, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, আদা ও রসুন আমদানিতে বাংলাদেশের জন্য বার্ষিক কোটা রাখতে ভারত সরকারের কাছে ফের প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে। গত রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের নেতৃত্বে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পণ্যের সংখ্যা ও পরিমাণ সংশোধন করে গতকালই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শিগগিরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা প্রস্তাব আকারে ভারত সরকারের কাছে পাঠাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিবছর সাড়ে ১৫ লাখ টন চাল, ২৬ লাখ টন গম, ১০ লাখ টন চিনি, ১ লাখ টন মসুর ডাল, ৮ লাখ টন পেঁয়াজ, ৫০ হাজার টন আদা এবং ৭০ হাজার টন রসুন আমদানির কোটা চায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৫ থেকে ৮ লাখ টন চাল, ৫ থেকে ৭ লাখ টন গম, ১ লাখ টন মসুর ডাল এবং ২০ হাজার টন পেঁয়াজ সরকারিভাবে আমদানি করা হবে। বাকি চাল, গম, পেঁয়াজ ও অন্যান্য পণ্য বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরা আমদানি করবেন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাড়তি চাহিদা অনুযায়ী বিশ্ববাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পণ্যভিত্তিক সুনির্দিষ্ট টাইম লাইনসহ সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করে এসব পণ্যের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, গতকালের বৈঠকে কোটা দেওয়ার বিষয়ে ভারত বেশ ইতিবাচক ছিল। বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে আবারও প্রস্তাব পাঠাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভারত সরকারের নির্ধারিত রপ্তানি শুল্ক পরিশোধ করেই কোটার আওতায় পণ্য আমদানি করতে হবে। তবে কোটা পাওয়ার সুবিধা হচ্ছে, ভারত কোনো পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও নির্ধারিত কোটা পর্যন্ত পণ্য পাবে বাংলাদেশ। কোটা না থাকায় দেশটি হঠাৎ করে কোনো পণ্য রপ্তানি বন্ধ করলে তার প্রভাব পড়ে দেশের বাজারে।