প্রভাবশালী চলচ্চিত্র অভিনেতা মরগ্যান ফ্রিম্যানসহ বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের নানা ফেইক কিংবা ভুয়া ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা এসব ভিডিও দেখে অর্থ আদায় কিংবা লুকিয়ে থাকা বার্তার মাধ্যমে গ্রাহকের পকেট খালি করছে প্রতারক চক্র। অর্থনীতিতে জোচ্চুরির বিষয় তখন থেকেই শুরু, যখন ব্যবসার প্রসার ঘটে এ পৃথিবীতে। এরপর থেকে নানা মাধ্যমে, নানা উপায়ে প্রতারক চক্র সাধারণ গ্রাহকদের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। স্ট্যাম্প পেপারের যুগ পেরিয়ে ডিজিটাল যুগে পৃথিবী। আর চুরিও পাল্টেছে রূপ। হাজার থেকে শুরু করে মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের তথ্য মতে, এ বছর ১০ হাজার ডলার থেকে ১ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত চুরির অভিযোগ এসেছে প্রায় ৮৭ হাজার। আর ১ থেকে ৯৯৯ ডলার চুরির ঘটনার অভিযোগ প্রায় পৌনে তিন লাখ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে গলার স্বর নকল করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ আদায়, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে এমএলএমের সূচনা, ডিজিটাল লটারি-কুপন কিংবা দ্বিগুণেরও বেশি অর্থ পাওয়ার লোভ দেখিয়ে গ্রাহকের অর্থ আদায় যেন নিত্যদিনের বিষয়। সাধারণ বিষয়গুলো ছাপিয়ে প্রতারক চক্র এখন ইন্টারনেটের ডার্ক সাইটে অবাধ যাতায়াত করছে, যেখান থেকে বড় ধরণের চুরি যাওয়া গ্রাহকের তথ্য কিনে চালিয়ে যাচ্ছে প্রতারণা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, প্রায় আড়াই কোটি জনসংখ্যার অস্ট্রেলিয়ায় এ বছর অর্থ প্রতারণার মামলা হয়েছে সাড়ে ৮ কোটি।