ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পায়রায় এলএনজি টার্মিনাল বানাবে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি

পায়রায় এলএনজি টার্মিনাল বানাবে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি

দেশে আরো একটি ভাসমান তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল হচ্ছে। এটি স্থাপন করা হবে পটুয়াখালী জেলার কাছে পায়রা গভীর সমুদ্রে। পাইপলাইন নির্মাণসহ এটি গড়ে তুলবে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট গ্লোবাল অপারেশনস, এলএলসি। এ টার্মিনাল থেকে খুলনা-বরিশালসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে গত বুধবার ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন বিষয়ে এক্সিলারেট গ্লোবাল অপারেশনসের সঙ্গে পেট্রোবাংলার অনুস্বাক্ষরিত খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হয়, সেগুলো অর্থমন্ত্রী অথবা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব ব্রিফ করে সাংবাদিকদের জানান। বছরের পর বছর ধরে এ চর্চা হয়ে আসছে। তবে অনেক সময় কোনো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচ্যসূচিতে থাকলে ব্রিফিং থেকে বিরত থাকে সরকার। গত বুধবারও বিরত ছিল। মন্ত্রিসভা কমিটির এর আগের বৈঠকের ব্রিফকারী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘বৈঠক হয়েছে কিন্তু ব্রিফ হবে না।’

কেন হবে না জানতে চাইলে তিনি ব্যাখ্যা দিতে রাজি হননি। তবে বৈঠকের সূত্রগুলো জানায়, অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনসহ মোট তিনটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন হয়। বাকি দুটির একটি হচ্ছে পূর্বাচল সিটির সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা। অন্যটি হচ্ছে ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ বায়োপিক চলচ্চিত্রের প্রচার ও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার কার্যক্রম কোনো ধরনের দরপত্র ছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা।

সূত্রগুলো জানায়, ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রের প্রচারণার কাজ যে প্রতিযোগিতা ছাড়া অর্থাৎ দরপত্র ডাকা ছাড়া সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কাউকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ব্যাপারটি সরকার প্রকাশ করতে চাইছে না। বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন লাগে। এদিকে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ৫০ হাজার টন গম আমদানির প্রস্তাবসহ ১৭টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা। গম সরবরাহের কাজ পেয়েছে সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রোকরপ ইন্টারন্যাশনাল।

এতে প্রতি টন ৩০৪ দশমিক ৮৩ মার্কিন ডলার হিসাবে মোট ব্যয় হবে ১৬৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত