জুলাইয়ে দুই হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এক হাজার ৯৯১ কোটি ২৭ লাখ টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতরণ করা হয়েছে শস্য খাতে। জুলাই মাসে শস্য উৎপাদনের জন্য বিতরণ করা হয়েছে ৮৭৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এর পরেই রয়েছে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি উৎপাদন খাতে ৪৭৯ কোটি টাকা। হিসাব অনুযায়ী, পুরো অর্থবছরে যত টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার মধ্যে প্রথম মাসে অর্জন হয়েছে ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ। নতুন অর্থবছরে (২০২৩-২৪) কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। কম সুদে কৃষকদের হাতে ঋণ পৌঁছাতে এবার ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থার (এমএফআই) ওপর বেসরকারি ব্যাংকের নির্ভরশীলতা আরও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আর এ জন্য ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্তত ৫০ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা এতদিন ছিল ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া কৃষিঋণের কত অংশ কোন খাতে দিতে হবে, তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩২ হাজার ৮২৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংক। কিন্তু এ বছর পুরো ব্যাংক খাতের জন্য কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৮১১ কোটি। অর্থাৎ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে দেশের ব্যাংকগুলো। কিছু কিছু ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি বিতরণ করেছে। আবার কিছু ব্যাংক কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রায় অর্জন করতে পারেনি। এরকম ব্যর্থ ব্যাংকের সংখ্যা আটটি। নতুন অর্থবছরের জন্য প্রণীত কৃষি ঋণ নীতিমালায় বলা হয়, ভবনের ছাদে বিভিন্ন কৃষি কাজ করা একটি নতুন ধারণা। বর্তমানে শহরাঞ্চলে যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত বাড়ির ছাদে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ফুল, ফল ও শাক-সবজির যে বাগান গড়ে তোলা হয় তা ছাদবাগান হিসেবে পরিচিত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, যাদের চাষের জন্য পর্যাপ্ত জমি নেই, কিন্তু নিজ হাতে কৃষি কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য ছাদকৃষি একটি উত্তম বিকল্প ব্যবস্থা। শহরাঞ্চলে বাড়ির ছাদে বাগান সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবারের দৈনন্দিন খাদ্যের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব। পাশাপাশি ছাদ কৃষি পরিবেশ রক্ষা ও বায়ুদূষণ প্রতিরোধেও সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। এর প্রেক্ষিতে ছাদকৃষিতে অর্থায়নের জন্য ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এ খাতের ঋণ দেওয়ার জন্য গ্রাহকের চাহিদা যাচাই-বাছাই করে ব্যাংক কত টাকা ঋণ দেবে এবং কিভাবে আদায় করবে তা নির্ধারণ করবে।