কেনা হচ্ছে চার চীনা জাহাজ

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

জাহাজ কেনার জন্য সাড়ে ২৩ কোটি ডলারের সরবরাহকারী ঋণ দিচ্ছে চীন। চীনা ঋণের অসুবিধা হলো এটি পুরোটাই সরবরাহকারী ঋণ। চীনা কর্তৃপক্ষই ঠিকাদার ঠিক করে দেয়। আবার ঋণ দর-কষাকষির পর্যায়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানই দাম-দর চূড়ান্ত করে থাকে। এতে কাজের মান ও দর নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন ওঠে। দরপত্রের মাধ্যমে একাধিক দরদাতার দর দেখার সুযোগ নেই। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসে সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে (এলটিএম) রাজি হয়েছে চীন। তবে এতে শুধু চীনা ঠিকাদারেরা অংশ নেবেন। এছাড়া চীনা ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময়সীমাও বেশ কম। গ্রেস পিরিয়ড বাদ দিলে ১০ থেকে ১৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হয়। এতে প্রতিটি কিস্তিতে অর্থের পরিমাণ বেশি হয়, যা সার্বিক ঋণ পরিশোধে চাপ সৃষ্টি করে। চীনা ঋণের সুবিধা হলো ঋণের সুদের হার স্থির থাকে। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) অন্য দাতা সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া ঋণের হার এসওএফআর অনুযায়ী ওঠানামা করবে। ৪ বছর গ্রেস পিরিয়ড। এর মধ্যে এই ঋণ পরিশোধের সময় ১৫ বছর। সব মিলিয়ে সুদের হার ২ দশমিক ২ শতাংশ। প্রাথমিক পরিকল্পনায় ছয়টি জাহাজ কেনার কথা ছিল। কিন্তু ডলার এবং জাহাজ নির্মাণের সরঞ্জামের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন সেই দামে মিলবে চারটি। চীন থেকে নতুন ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ। এই ঋণের অর্থে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জন্য চারটি সমুদ্রগামী জাহাজ কেনা হবে। প্রাথমিক পরিকল্পনায় ছয়টি জাহাজ কেনার কথা ছিল। কিন্তু ডলার এবং জাহাজ নির্মাণের সরঞ্জামের দাম বেড়ে যাওয়ায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাই এখন সেই দামে মিলবে চারটি জাহাজ। আড়াই বছরের দর-কষাকষির পর চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে জাহাজের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এসব জাহাজ কেনার জন্য সাড়ে ২৩ কোটি ডলারের সরবরাহকারী ঋণ দিচ্ছে চীন। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এই বাণিজ্যিক ঋণচুক্তি হতে পারে। বাণিজ্যিক ঋণচুক্তির পরপরই চীনা কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন বা সিএমসিকে জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হবে। এই কোম্পানি দর-কষাকষির পর্যায়ে জাহাজের নকশা, পরিমাপসহ যাবতীয় বিষয় ঠিক করেছে।