দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালু করার জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান বাছাই করা হবে, ওইসব প্রতিষ্ঠান তা ব্যবহার না করলে কিংবা এ ব্যবস্থায় চালানপত্র ইস্যু না করলে জরিমানা গুনতে হবে। গত সোমবার (২৮ আগস্ট) ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ (এনবিআর) এ সংক্রান্ত এক জেনারেল অর্ডার (সাধারণ আদেশ) জারি করেছে, যেখানে বলা হয়েছে ইএফডি মেশিনে চালানপত্র ইস্যু না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অর্থাৎ, ইএফডির মাধ্যমে চালানপত্র ইস্যু না করলে অন্তত ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হবে প্রতিষ্ঠানকে। পাশাপাশি, কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ইএফডি মেশিন ব্যবহার না করে এবং তা উদ্ঘাটন হয়, সেক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ফাঁকির পরিমাণ উদ্ঘাটন করতে পারলে ওই পরিমাণ অর্থের পাশাপাশি ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা গুণতে হবে ওই প্রতিষ্ঠানকে। বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর এবং সম্পূরক শুল্ক আইন-এ সরাসরি ইএফডির অনিয়মে জরিমানার কথা বলা নেই। তবে এনবিআরের ভ্যাট আইন বিশেষজ্ঞ কর্তকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আইনের ৮২ ধারায় কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করার ক্ষেত্রে জরিমানার বিষয়টি বলা আছে, যেখানে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার কথা বলা আছে। জেনারেল অর্ডার এর মাধ্যমে ইএফডি ব্যবহারের জন্য প্রতিষ্ঠান কারা বাছাই করবে, কী প্রক্রিয়ায় কার্যক্রম পরিচালিত হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। প্রায় ৬ বছর ধরে ইএফডি মেশিন নিয়ে বিস্তর আলোচনার পর গত সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো এ কার্যক্রম। এনবিআরের পক্ষ থেকে ইএফডি মেশিন স্থাপন ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বেসরকারি কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডকে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামের তিনটি জোন থাকবে এর অধীনে। ২৫ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ মেশিন স্থাপন করতে হবে। এগুলো হলো- হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ফাস্ট ফুডের দোকান, ডেকোরেটর, ক্যাটারার, মোটর গ্যারেজ, ওয়ার্কশপ, ডকইয়ার্ড, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, প্রিন্টিং প্রেস, কমিউনিটি সেন্টার, মিষ্টির দোকান, গহনার দোকান, আসবাবপত্রের দোকান, কুরিয়ার সার্ভিস, বিউটি পার্লার, ফিটনেস সেন্টার, কোচিং সেন্টার, ক্লাব, তৈরি পোশাকের দোকান, বৈদ্যুতিক এবং ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির দোকান, শপিং সেন্টার, মার্কেট, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, জেনারেল স্টোর, সুপার শপ, ছোট ও মাঝারি আকারের দোকান, লন্ড্রি, সিনেমা হল এবং নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো।