ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ব্যাংক খাতের নিট মুনাফা বেড়েছে ১৮৩ শতাংশ

ব্যাংক খাতের নিট মুনাফা বেড়েছে ১৮৩ শতাংশ

চরম ডলার সংকটের মধ্যে দেশের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড স্থবির অবস্থার মধ্যে থাকলেও ২০২২ সালে দেশের ব্যাংক খাতের নিট (প্রকৃত) মুনাফা বিস্ময়করভাবে ১৮৩ শতাংশ বেড়েছে। তবে মুনাফায় এই উচ্চ প্রবৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে- খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশনে ব্যাংকগুলোকে ডেফারেল সুবিধা, যার ফলে ব্যাংকের ব্যালেন্স শিট বা স্থিতিপত্রে মুনাফা কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে দেখানোর সুযোগ। গত বছর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রভিশন সংরক্ষণে ৫০ হাজার কোটি টাকার ডেফারেল বা অতিরিক্ত সময়ের সুবিধা (অতিরিক্ত সময়) নেয়। দুর্বল আর্থিক স্বাস্থ্য আড়াল করে মুনাফা স্ফীত করে দেখাতে তারা এ উপায় গ্রহণ করে। এসব ব্যাংক হলো- ন্যাশনাল, জনতা, এবি, রূপালী, অগ্রণী, বেসিক, সোনালি, ওয়ান, এনসিসি, ঢাকা, বাংলাদেশ কমার্স, আইএফআইসি, স্ট্যান্ডার্ড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, সাউথইস্ট, এবং সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের যে অংশ খেলাপি হয়ে যায় তার বিপরীতে নিদৃষ্ট হারে করতে হয় প্রভিশনিং। এসব প্রভিশন করতে হয় মুনাফা থেকে অর্থাৎ প্রভিশনিং করার পর অবশিষ্ট অংশ প্রকৃত নিট মুনাফা। যদিও অধিকাংশ ব্যাংকের নিট মুনাফা নেগেটিভ হওয়ার কথা থাকলেও ডেফারেল সুবিধা ব্যাংকগুলোকে কৃত্রিম মুনাফা বেশি দেখাতে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে ১৬ ব্যাংককে ডেফারেল সুবিধা দেয়া হয়, তারমধ্যে কয়েকটিকে এক থেকে ৯ বছর পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত