ডলার সংকটে গেল এক বছরে অন্তত ত্রিশ শতাংশ আমদানি কমেছে ইলেকট্রনিকস, গাড়িসহ বেশকিছু পণ্যের। যার ফলে, দামও বেড়েছে স্থানীয় বাজারে। অন্যদিকে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি আর চড়া দামের কারণে, এই সময়ে বিক্রি কমেছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। তাই, ব্যবসা গুটাতে বাধ্য হচ্ছেন, আমদানিনির্ভর ব্যবসায়ীরা। অব্যাহত ডলার ক্ষয় ঠেকাতে, গত অর্থবছরের শুরু থেকে আমদানি ব্যয়ে রাশ টানে সরকার। উদ্দেশ্য ছিল, তুলনামূলক কম দরকারি এবং বিলাসী জিনিসপত্রের পেছনে খরচ কমানো। কিন্তু, এই উদ্যোগের কারণে, এক রকম মুখ থুবড়ে পড়েছে বিদেশি পণ্যনির্ভর বহু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটের অন্যতম বড় এই প্রতিষ্ঠান এবি ইলেকট্রনিক্সের প্রধান আমদানি উৎস জাপান, কোরিয়া, আমেরিকাসহ কয়েকটি দেশ। একযুগ ধরে ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকা মোস্তফা জামান জানান, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে, ভালোই চলছিল ব্যবসা। কিন্তু, হঠাৎ করেই ডলার সঙ্কট শুরু হওয়ায় আশঙ্কাজনক হারে কমে যায় আমদানি। ফলে, পণ্য সঙ্কটে বন্ধ করে দিতে হয় একাধিক শাখা। মোস্তফা জামান বলেন, এক লাখ টাকার জিনিসের মূল্য এখন হয়ে গেছে এক লাখ ত্রিশ-চল্লিশ হাজার টাকা। সাধারণত যারা কিনতে আসতো তারা তো এখন সেটা কিনতে যেতে পারছে না। আমরা আগে বিক্রি করলে যে পরিমাণ লাভ হতো এখন বিক্রি করলেও ওই পরিমাণ লাভ হয় না। প্রোডাক্টের তো আমাদের রেট বেড়ে যাচ্ছে। আমদানিতে বড় ব্যয়ের আরেকটি খাত পুরনো গাড়ি।