ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি গার্মেন্টস

মনিটরিংয়ের আওতায় আনার দাবি সিপিডির

মনিটরিংয়ের আওতায় আনার দাবি সিপিডির

ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি গার্মেন্টকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গতকাল বুধবার (৩০ আগস্ট) ধানমন্ডির সিপিডি কার্যালয়ে ‘তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা : অর্জন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ মন্তব্য করেন। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশে এখনো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে। আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিলের (আরএসসি) আওতায় ১ হাজার ৮৮৭টি কারখানা মনিটরিংয়ের মধ্যে রয়েছে। আর নিরাপদ হিসেবে ৩৫০টি কারখানা শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেলের (আরসিসি) আওতায় ৬৫৯টি কারখানা মনিটরিংয়ের আওতায় রয়েছে। সব মিলিয়ে ২ হাজার ৮৯৬টি কারখানা আরএসিসি ও আরসিসির মনিটরিংয়ে রয়েছে। কিন্তু ৮৫৬টি কারখানা বর্তমানে কোনো মনিটরিংয়ের আওতায় নেই। কীভাবে এই কারখানাগুলোকে নিরাপত্তার আওতায় আনা যায় সেদিকে চোখ রাখা উচিত। তিনি বলেন, ৮৫৬টি কারখানাগুলোতে কাজ চলছে, রপ্তানিও হচ্ছে। এরা সবাই কাজই করছে, তাহলে ওই কারখানাগুলো মনিটরিং কে করবে? এই সংখ্যাটি দিন দিন বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা মোট কারখানার ২২-২৩ শতাংশ; যা ভবিষ্যতে ৩০ শতাংশ হতে পারে। কারখানাগুলোকে তদারকির মধ্যে আনতে হবে। কোনো কারখানা অ্যাসোসিয়েশনের বাইরে থাকতে পারবে না। কেন না, এসব কারখানায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দায়ভার কে নেবে? বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ওই কারখানার দায়ভার নেবে না। আমরা চাই সব কারখানা যেন কোনো না কোনো সংগঠনের সঙ্গে দায়বদ্ধতায় থাকে। আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল (আরএসসি) যে কাজগুলো করছে তা গুরুত্বপূর্ণ। তবে তাদের কার্যক্রমের আরো স্বচ্ছতা ও জবাদিহিতার মধ্যে আনারও দাবি জানিয়েছে সিপিডি। সংস্থাটি জানায়, ২০২৩ সালে রানা প্লাজা ধসের ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই বিপর্যয় পরবর্তী এক দশকে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত