ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

পোশাক শিল্পে অসন্তোষের আশঙ্কা

পোশাক শিল্পে অসন্তোষের আশঙ্কা

জাতীয় নির্বাচনের আগে পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই সময় বকেয়া বেতন-ভাতার বিষয়টি নিয়ে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকে সময় থাকতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে নির্দেশনা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধসহ কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে সব বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলছে, সম্প্রতি বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে পাওয়া জুলাই ২০২৩-এর দ্বিতীয় পক্ষের গোপনীয় প্রতিবেদনে পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়- রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও মুন্সীগঞ্জ জেলায় বিপুলসংখ্যক গার্মেন্টস কারখানায় অসংখ্য শ্রমিক কাজ করেন। এসব কারখানার অনেক মালিক সময়মতো বেতন পরিশোধ না করায় শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হন এবং মাঝে মাঝে সড়ক অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। বকেয়া বেতনের কারণেই নির্বাচনপূর্ব সময়ে নতুন করে এ অসন্তোষ দানা বাঁধার আশঙ্কা রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে বিভাগীয় কমিশনারদের পাঠানো গোপনীয় প্রতিবেদনটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানা গেছে। সম্প্রতি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এক প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তর থেকেও এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। শ্রমিক অসন্তোষ নিরসন ও সময়মতো বেতন-ভাতা পরিশোধে সাতটি সুপারিশ করেছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, কিছু কিছু গার্মেন্টস মালিক রপ্তানি হ্রাস, ক্রয়াদেশ বাতিল, কাজের অর্ডার কম বা না পাওয়া, মূলধনের অভাব, ঋণ ও প্রণোদনা না পাওয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রতিমাসে সময়মতো শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেন না। অনেক ক্ষেত্রে মালিকপক্ষ পূর্ব নোটিশ ছাড়াই আকস্মিকভাবে ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেয়। এছাড়া সুনির্দিষ্ট নিয়ম না মেনে বিভিন্ন সময়ে কারণে-অকারণে শ্রমিক ছাঁটাই করা, ওভারটাইম ভাতা ও বার্ষিক ছুটির টাকা না দেওয়া, কোনো কোনো ফ্যাক্টরিতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী না থাকা, হঠাৎ করে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি অন্যত্র সরিয়ে ফেলা, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাবসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রায়ই পোশাকশিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত