জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও দেশের অর্থনীতি ভালো চলছে

বললেন অর্থমন্ত্রী

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে, কিন্তু যুদ্ধ কবে শেষ হবে কেউ জানে না। একটি অনিশ্চয়তার ভেতরে কতদিন অর্থনীতি ভালো চালাবেন? সবাই বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো চলছে। গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সৌজন্য সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। তারা কৃষি, গ্যাস, অটোমেবাইলস খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। তারা আমাদের সয়াবিনের উৎপাদন ও রপ্তানিতে আগ্রহ জানিয়েছে।

ভিসা কোম্পানি এসেছিল, তারা ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে। তারা বলেছে, সামনে বাংলাদেশে একটি কনজ্যুমারসের বড় মার্কেট হবে। এখানেও তারা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

তারা মনে করে বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উর্বর ভূমি। তারা মেট লাইফ সব বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্সেও বিনিয়োগে আগ্রহী। ভবিষ্যতে তারা আরো বেশি বিনিয়োগ করবে। দেশে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে মূল্যস্ফীতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী হিসেবে কী বলবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, যখন আমরা দায়িত্বভার গ্রহণ করি তখন মূল্যস্ফীতি ১২.৩ ছিল। সেখান থেকে এক মাসে আমাদের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ হয়েছে। এছাড়া ৭. ৫ শতাংশ হচ্ছে। এই অবস্থার মাঝেও মূল্যস্ফীতি ১২.৩ শতাংশ থেকে ৭. ৫ শতাংশ হয়েছে। প্রতিনিধি দলের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, “বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে কর অবকাশ সুবিধাসহ নানানভাবে কর ছাড় দেয়া হয়। এসব ছাড়ের ফলে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা লাভজনকভাবে ব্যবসা করছে। এরপরও আমেরিকান বিনিয়োগকারীদের বাড়তি সুবিধা দরকার হলে বাংলাদেশ সরকার তা বিবেচনা করবে।’ তবে, তার আগে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা পর্যালোচনা করার অনুরোধ করেছেন অর্থমন্ত্রী।

বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মাসুদ সাদিক কোন খাতে কী কী ধরনের কর ছাড় দেওয়া হয়, সে বিষয়ক একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা এসেছেন, তারা বাংলাদেশে সম্প্রসারণ করতে চান।

তাদেরকে বলেছি, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে উত্তম জায়গা। এখানে কেউ কখনো লোকসান করেনি।’ মার্কিন প্রতিনিধিরা কৃষি, অটোমোবাইল, এনার্জি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছেন। সুযোগ-সুবিধা দিলে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবেন বলে আশ্বাস দেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বলেন, ‘ইউএস প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিশেষ করে সয়াবিন উৎপাদন ও রপ্তানিতে বিনিয়োগ করতে চায়। এছাড়া, ক্যাশলেস ট্রানজেকশন কোম্পানি ভিসা কিছু ক্ষেত্রে ইনসেনটিভ চেয়েছে তারা। বিশেষ করে ডিজিটাল পেমেন্ট, মার্চেন্ট পেমেন্টে তারা সুবিধা চায়।’