বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

শঙ্কায় রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও বরাবরই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন রপ্তানি নীতিতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ বিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি, অস্থিতিশীল বাজার ও রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জ্বালানি তেল এবং পরিবহণ খরচ বাড়ায় সরকারের সামনে লক্ষ্যে পৌঁছানোর এবারের চ্যালেঞ্জটা একটু ভিন্নমাত্রিক।

তবে সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে ২০২৪ সাল নাগাদ রপ্তানি আয়ের এ বিশাল লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে চায় সরকার। এর পক্ষে সরকারের দায়িত্বশীলরা যুক্তি খণ্ডনও করছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তৈরি পোশাক আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য হলেও বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আরো পাঁচ থেকে ছয়টি পণ্য ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি করবে। ২০২৪ সাল নাগাদ রপ্তানির আকার ৮০ বিলিয়নে পৌঁছানো সম্ভব হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের অগ্রাধিকারমূলক পরিকল্পনা, রপ্তানি খাতের চাহিদা এবং বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্যমূলক নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রতি তিন বছর পরপর রপ্তানিনীতি প্রণয়ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রপ্তানিনীতি ২০২১-২০২৪ দিয়েছে সরকার। যেখানে আট হাজার কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জন করতে হলে তিনটি অর্থবছরেই আগের অর্থবছরগুলোর চেয়ে রপ্তানি আয় দ্বিগুণের বেশি বাড়াতে হবে। শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, বিদ্যমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট নিরসন না হলে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে। সরকার রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ ও উৎপাদন বাড়াতে আন্তরিক। এ লক্ষ্যে দেশের আনাচে-কানাচে ইকোনমিক জোন বা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। রপ্তানি বাড়াতে দেয়া হচ্ছে বিশেষ প্রণোদনা। তবে সবকিছুর পর এখনো দেশের মূল রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। এ খাতের হাত ধরেই রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। এর বাইরে তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি), চামড়া ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে। পণ্য ও সেবা মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছিল ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছর রপ্তানির আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্যে পণ্য খাতে ৬২ বিলিয়ন আর সেবা খাতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে সরকার। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসে পোশাক খাত থেকে। গত অর্থবছর ৫৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির মধ্যে ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ অথবা ৪৬ বিলিয়ন ডলার এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাক খাতে রপ্তানির আকার ১০০ বিলিয়নে উন্নীত করতে চান এ খাতের উদ্যোক্তারা।