খোলাবাজারে অতিরিক্ত দামে ডলার বিক্রি

সাত মানিচেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

খোলাবাজার অর্থাৎ কার্ব মার্কেটে অতিরিক্ত দামে ডলার বিক্রির কারণে সাতটি মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া, আরো ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশকিছু মানিচেঞ্জারের দাম যাচাই-বাছাইয়ে মার্কেট পর্যবেক্ষণ করে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, তাদের অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক নির্ধারিত দরের চেয়ে তারা বেশি দরে ডলার বেচাকেনা করছে; তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নিয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের পরিদর্শন নিয়মিত থাকবে। যে প্রতিষ্ঠান মার্কটে অস্থিরতা তৈরি করতে অতিরিক্ত দামে ডলার বিক্রি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ খোলা বাজারের ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, গত এক মাসের ব্যবধানে খোলাবাজারে প্রতি ডলার ৬ টাকা বেড়ে ১১৭ থেকে ১১৮ টাকায় ডলার বেচা বিক্রি হচ্ছে। যদিও মানিচেঞ্জারগুলো সর্বোচ্চ ১১২ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার বিক্রি করতে পারবে।

লাইসেন্স স্থগিত করা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইয়র্ক মানি এক্সচেঞ্জ, জামান মানি চেঞ্জিং হাউজ, জেনি মানি এক্সচেঞ্জ, স্ট্যান্ডার্ড মানি এক্সচেঞ্জ, মার্সি মানি এক্সচেঞ্জ, জেবি মানি এক্সচেঞ্জ ও বেঙ্গল মানি এক্সচেঞ্জ। অন্যদিকে, বিভিন্ন অনিয়মে সম্পৃতক্ততার দায়ে আরও ১০টি মানিচেঞ্জারের ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে- নিউ প্রাইম মানি চেঞ্জার, উত্তরা মানি চেঞ্জার, মিসা মানি এক্সচেঞ্জ, যমুনা মানি এক্সচেঞ্জ, পাইওনিয়ার মানি এক্সচেঞ্জ, বুড়িগঙ্গা মানি এক্সচেঞ্জ, স্কাফ মানি চেঞ্জার, হযরত খাজা বাবা মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র, গ্লোরি মানি এক্সচেঞ্জ এবং মাতৃক মানি চেঞ্জার। বর্তমান নিয়মে মানিচেঞ্জার অ্যাসোসিয়শনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে ব্যাংকের তুলনায় মানিচেঞ্জারগুলো ডলার বেচেকেনায় সর্বোচ্চ ১ টাকা পার্থক্য রাখতে পারবে। বর্তমানে ব্যাংকগুলো ১১১ টাকা ৫০ পয়সায় নগদ ডলার বিক্রি করছে। এদিকে, বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড় ও গুলশানে চারটি মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। অভিযানে প্রায় ২ কোটি মার্কিন ও কানাডিয়ান ডলার এবং ৩৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় হুন্ডির কারবারে জড়িত একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।