আগামী সপ্তাহে আকু’র আমদানি বিল পরিশোধ
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
আগামী সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১.২ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাবে বলে জানা গেছে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত রিজার্ভ ২৩.০৬ বিলিয়ন ডলার ছিল। আমদানি বিল পরিশোধের পর ২১.৮৬ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি অবশিষ্ট থাকবে। জুলাই-আগস্ট সময়ের আকু পেমেন্টের পূর্ববর্তী ২ মাসের তুলনায় ১০০ মিলিয়ন ডলার বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার এ অর্থ পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। ‘যদিও এই সময়ের মধ্যে দেশের সামগ্রিক আমদানি কমেছে, কিন্তু এশিয়ার দেশগুলো থেকে আমদানিতে ঊর্ধ্বমুখীপ্রবণতা ছিল,’ যোগ করেন তিনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত মাসে মে-জুনের ১.১ বিলিয়ন ডলারের আকু বিল পরিশোধ করা হয়েছে। আঞ্চলিক আমদানির ক্ষেত্রে ৯টি সদস্য দেশ-বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার আর্থিক লেনদেন কভার করে আকু পেমেন্ট গেটওয়ে। প্রতি ২ মাস অন্তর এ বিল পরিশোধ করা হয়। ১৩ জুলাই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রস্তাবিত ব্যালেন্স অফ পেমেন্টস এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল, ষষ্ঠ সংস্করণ (বিপিএম৬) অনুসারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬.৪৪ বিলিয়ন ডলার কমে ২৩.৫৬ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়ায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল এবং জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়কালে আকু পেমেন্ট ছিল যথাক্রমে ১.১৮ বিলিয়ন এবং ১.১ বিলিয়ন ডলার। তবে ২০২২-এর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের জন্য আকু পেমেন্ট ছিল ১.৩২ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের মে-জুন সময়ে এটি ছিল ১.৯৬ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন ডলারের ঘাটতির কারণে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার পরিমাণ কমেছে। এর অর্থ, গত অর্থবছরে বাংলাদেশের আমদানি তীব্রভাবে কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, বেসরকারি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৯.৩৬ বিলিয়ন ডলারের এলসি খুলেছে, যা এর আগের অর্থবছর ছিল ৯৪.২৬ বিলিয়ন ডলার। গত ১ বছর ধরে দেশের আমদানি কমলেও রিজার্ভ কমে যাওয়া রোধ করা যাচ্ছে না। এর একটি বড় কারণ হলো, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিদায়ি অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি ডলার বিক্রি করেছে। আমদানি বিল নিষ্পত্তির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর কাছে ১৪ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৭.৬২ বিলিয়ন ডলার।