২০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার আশা বাংলাদেশের
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্যাংকসহ আর্থিক খাত ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনি সংস্কারসহ বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের সংস্কার করলে দাতা ২০০ কোটি ডলার দিতে পারে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাজেট সহায়তা পেতে পারে বাংলাদেশ। এই সহায়তা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা ধরে)। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকসহ (এআইআইবি) জাপানি ও ফরাসি সাহায্য সংস্থাগুলো থেকে এই বাজেট-সহায়তা আশা করা হচ্ছে। তবে এজন্য ব্যাংক ও আর্থিক খাত এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনি সংস্কার করতে হবে। পূরণ করতে হবে বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের সংস্কারের শর্ত। সরকারি ও বেসরকারি দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এডিবির কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলারের বেশি ছাড় হতে পারে, যা বর্তমান বাজার মূল্যে ১১ হাজার কোটি টাকার মতো। বাকি অর্থ মিলবে অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে। কোভিড মহামারি শুরু হওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে বাজেট সহায়তা চায় সরকার। দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারই ছিল এই সহায়তা চাওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য। সে অনুযায়ী গত কয়েক বছরে এডিবি, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থার কাছ থেকে অন্তত ৩০০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা মিলেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, চলতি অর্থবছরে সব মিলিয়ে ১৮৩ কোটি ডলার পাওয়ার কথা। এর মধ্যে এডিবি ১১০ কোটি, বিশ্বব্যাংক ৫০ কোটি ও জাপান সাড়ে ২২ কোটি ডলার দেবে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে নতুন বাজেট সহায়তা নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা চলছে বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোট ব্রিকসের নেতৃত্বাধীন নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কাছ থেকেও অর্থ পাওয়ার প্রক্রিয়া চলমান। ডলারসংকটসহ অর্থনীতিতে চাপের সময় বিদেশি ঋণদাতা সংস্থার কাছ থেকে বাজেট সহায়তা বাবদ ঋণ নেওয়া খারাপ নয়। কারণ, বিদেশিদের কাছে না গেলে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপাত কিংবা স্থানীয় ব্যাংকের কাছ থেকে বেশি সুদে ঋণ নিত। এসব ঋণে আরও বেশি খরচ হতো। অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, ঋণদাতা সংস্থাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাজেট-সহায়তা পাওয়া যাবে এডিবি থেকে। সংস্থাটির সঙ্গে প্রায় ১১০ কোটি ডলার পাওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে ৫০ কোটি ডলার এডিবি নিজে দেবে, যা মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ সংশ্লিষ্ট খাতে খরচ হবে।