ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কার্যকর হলো ডলারের এক দাম

কার্যকর হলো ডলারের এক দাম

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো দীর্ঘ সময় ধরে মার্কিন ডলার কেনা-বেচার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন দাম নির্ধারণ করে আসছিল। তবে সেই পদ্ধতি থেকে শেষ পর্যন্ত সরে এসে ডলার কেনাবেচার ক্ষেত্রে একদর ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। ডলারের এই এক দামপদ্ধতি অবশ্য চালু করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে। এখন থেকে প্রবাসী আয়ের ডলার ও রপ্তানি আয়ের ডলার কেনায় একটিই দাম হবে। অন্যদিকে ডলার বিক্রির ক্ষেত্রে দাম হবে আরেকটি। তবে সবাই এক দামেই ডলার বিক্রি করবে। এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের কাছে যে দামে ডলার বিক্রি করবে, বাংলাদেশ ব্যাংকও সেই দামে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করবে। গত রোববার থেকে এই ব্যবস্থ চালু হয়েছে। তবে রোববার আন্তর্জাতিক বাজার বন্ধ থাকায় সেদিন সাধারণত বিদেশি মুদ্রার লেনদেন খুব কম হয়। এজন্য গতকাল সোমবার থেকে পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে ডলারের একদর। ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম গত রোববার থেকে বেড়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পণ্য বা সেবার রপ্তানি আয়ের ডলার ও প্রবাসী আয়ের ডলার কেনায় দাম হয়েছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। আগে ব্যাংকগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতি ডলারের জন্য প্রবাসীদের ১০৯ টাকা এবং রপ্তানিকারকদের ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দিত। অন্যদিকে ব্যাংকগুলো এখন আমদানিকারকদের কাছে ১১০ টাকায় ডলার বিক্রি করবে। আগে আমদানি দায় মেটাতে ব্যাংকগুলো আমদানিকারকদের কাছে প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করত। বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ডলারের জোগান ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে সময়ে সময়ে এই মুদ্রার দাম নির্ধারণ করে আসছিল। এই দুটি সমিতি মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট সংগঠন। কিন্তু এখন যেহেতু ডলার বেচাকেনার ক্ষেত্রে একদর থাকবে, তাই প্রশ্ন হলো এই দাম নির্ধারিত হবে কীভাবে, আর তদারকই-বা করবে কে। বেশ অনেক দিন ধরেই বাফেদা ও এবিবি ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে এবং তারাই এ কাজ আগামীতে করবে। তবে ব্যাংকগুলো প্রতিদিন কী দামে ডলার কেনাবেচা করছে, তাদেরকে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হয়। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা মাঠপর্যায় থেকেও ডলারের দামের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত