রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

জ্বালানি আসছে সেপ্টেম্বরে পরিবহনে কঠোর নিরাপত্তা

প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমান সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নেয় ২০০৯ সালে। ধীরে ধীরে প্রকল্পের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর, প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু সব পর্ব শেষে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছে। রূপপুর প্রকল্পের জন্য চলতি সেপ্টেম্বরে আসছে পারমাণবিক জ্বালানি। পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের উৎপাদন (কমিশনিং) শুরুর আগে জ্বালানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়া সবচেয়ে বড় ধাপ। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) নির্দেশনা মোতাবেক কাজ এগিয়ে নেওয়ায় পারমাণবিক জ্বালানি প্রাপ্তির সব ধাপ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি, পরিবহণ ও সংরক্ষণের অনুমোদন দেয়া হয়। আইএইএ’র নির্দেশনা অনুযায়ী শর্ত পূরণ করায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি অথরিটি গত ১৩ জুলাই বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে (বিএইসি) পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি ও সংরক্ষণের লাইসেন্স দেয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পারমাণবিক জ্বালানি পরিবহনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে রুশ প্রতিষ্ঠান বাররুস প্রজেক্ট এলসিসিকে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি অথরিটির অন্তর্ভুক্ত নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি ইনফ্রাস্টাকচার উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড. সত্যজিত ঘোষ ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আইএইএর সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুযায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি, পরিবহন ও সংরক্ষণের সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’ আইএইএ’র সেফগার্ড মিশন এজন্য বাংলাদেশে কাজ করছে। মিশনের উচ্চ পর্যায়ের দল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে গত ২০ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। এর আগে, জ্বালানি আমদানি, পরিবহন ও সংরক্ষণের লাইসেন্স দেয়ার পর থেকেই রূপপুরের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম নিয়ে আসার প্রস্তুতি শুরু হয়। রুশ পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের গণসংযোগ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের জন্য নতুন জ্বালানির প্রথম ব্যাচের উৎপাদন শেষ হয়েছে। গত ৯ আগস্ট রোসাটমের জ্বালানি কোম্পানি টেভেলের প্রতিষ্ঠান নভোসিবিরস্ক কেমিক্যাল কন্সেন্ট্রেটস প্ল্যান্টে (এনসিসিপি) এই জ্বালানির এক্সসেপটেন্স নিরীক্ষা শেষ হয়।