ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আগস্টে এলসি খোলার হার বেড়েছে

আগস্টে এলসি খোলার হার বেড়েছে

আমদানির জন্য এলসি নিষ্পত্তির প্রান্তিক হিসাবে আগস্টে ৩৫ শতাংশের বেশি কমেছে। গত বছরের আগস্টে ৭.৬৯ বিলিয়ন ডলার এলসি পেমেন্ট করা হয়, এ বছরের একই মাসে তা ৫.৩৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। আগস্টে এলসি খোলার পরিমাণ জুলাই থেকে প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এ মাসে এলসি খোলা হয়েছে ৫.৫৯ বিলিয়ন ডলারের। যদিও প্রান্তিক হিসাবে এলসি খোলার পরিমাণ এখনও ১৫ শতাংশ কম। অন্যদিকে, মাসিক ও প্রান্তিক উভয় হিসাবেই আগস্টে কমেছে এলসি নিষ্পত্তি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইতে এলসি খোলা হয় ৪.৯৬ বিলিয়ন ডলারের। প্রান্তিক হিসাবে এলসি খোলার কারণ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, তারা ৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি পরিমাণের আমদানি এলসি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এই কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের ফলে ওভার-ইনভয়েসিং কমেছে, ফলে কমেছে এলসি খোলাও। একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আমরা আগের তুলনায় মূলধনী যন্ত্রপাতির জন্য এলসি খোলার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছি। আমরা এ বিষয়ে বেশ সতর্ক এবং শুধু প্রয়োজন হলেই এলসি খুলি।’ এর একটি কারণ হিসেবে তিনি এলসি খোলার সময় পেমেন্টের সিডিউল নির্ধারণের নিয়মকে দায়ী করেন।’ আমাদের ডলার ফ্লো এতটা বেশি নয়। তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবেই এলসি খোলার পরিমাণ কমছে,’। এদিকে, আমদানির জন্য এলসি নিষ্পত্তিও প্রান্তিক হিসাবে আগস্টে ৩৫ শতাংশের বেশি কমেছে। গত বছরের আগস্টে ৭.৬৯ বিলিয়ন ডলার এলসি পেমেন্ট করা হয়, এ বছরের একই মাসে তা ৫.৩৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। জুলাইতে এলসি পেমেন্টের পরিমাণ ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার। ইনকামিং ডলারের প্রবাহ বাড়াতে ডলারের জন্য একটি বাজারভিত্তিক বিনিময় হারের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে তিনি পরামর্শ দেন, বাজারভিত্তিক হার প্রাথমিকভাবে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা হতে পারে এবং শেষমেশ এটি স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত