রাশিয়া-সৌদির ‘অপ্রত্যাশিত’ সিদ্ধান্ত

কমল জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

আরো ৩ মাস তেল উত্তোলন কমিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের দুই শীর্ষ রপ্তানিকারক সৌদি আরব ও রাশিয়া। এতে গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জ্বালানি পণ্যটির দাম ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে পরের দিনই গত বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) তেলের দর কমলো। বিশ্বজুড়ে প্রবৃদ্ধি ধীর হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলারের মূল্যমান বেড়েছে।

কারণ, নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে জ্বালানি পণ্যটির দরপতন ঘটল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন বেশ্বিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম নিম্নমুখী হয়েছে ৯ সেন্ট। প্রতি ব্যারেলের দর স্থির হয়েছে ৮৯ ডলার ৯৫ সেন্টে। একই কার্যদিবসে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) সরবরাহ মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৯ সেন্ট। ব্যারেলপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৬ ডলার ৬০ সেন্টে। প্রধান ৬ মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। বর্তমানে তা ১০৪ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গত ৬ মাসের মধ্যে যা প্রায় সর্বোচ্চ। তাতে তেলের চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে অন্যান্য মুদ্রা ধারণকারীদের কাছে জ্বালানি পণ্যটি কেনা ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। আইএনজি ইকোনমিকস এবং রিস্টাড এনার্জির বিশ্লেষকরা বলছেন, উৎপাদনকারী ও তাদের মিত্রদের জোট ওপেক প্লাসের সদস্যভুক্ত দেশগুলো তেলের উৎপাদন কমিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এতে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে প্রত্যাশার চেয়ে ঘাটতি গভীর হবে। ফলে মূল্য ঊর্ধ্বগামীই থাকবে। এখন তেলের দাম গত ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে। কেবল গত ৬ মাসেই ব্যারেলে জ্বালানি পণ্যটির দাম বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ ডলার। ধারণা করা হয়েছিল, আগামী অক্টোবর পর্যন্ত তেলের উৎপাদন কমাবে সৌদি আরব ও রাশিয়া। কিন্তু আসছে ডিসেম্বর পর্যন্ত তা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা। বিনিয়োগকারীদের কাছে সেটি অপ্রত্যাশিত। চলতি বছরের শেষ মাস পর্যন্ত দৈনিক ১ মিলিয়ন ব্যারেল করে তেল উত্তোলন কমিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি। আর ৩ লাখ ব্যারেল করে উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে রাশিয়া। সম্মত হয়েছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার এক ফোনকলের সময় এই সম্মতি প্রকাশ করেন তারা। আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনসহ অভিন্ন স্বার্থের বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন সৌদি প্রিন্স সালমান এবং রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এসময় অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে সৌদির আগ্রহ এবং ব্রিকস দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা নিয়েও কথোপকথন হয়।