প্রাণিখাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, ভেজাল ওষুধ আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে খামার। গাজীপুরের জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় বলেছে, এ কারণে অন্তত ৮ হাজার খামার গুটিয়ে নিয়েছেন খামারিরা। ফলে সরবরাহ কমেছে ডিম আর মাংসের। দেশের প্রাণিজ আমিষের অন্যতম সস্তা উৎস পোলট্রি খাতকে রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তাগিত সংশ্লিষ্টদের। নেই কোলাহল, চারদিকে কেবলি শুনশান নীরবতা। অথচ ক’দিন আগেও ঘরগুলো ছিল উৎসবমুখর, পূর্ণ ছিল মুরগিতে। এই চিত্র গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকার একটি পোলট্রি খামারের। শুধু এটিই নয়, খাবারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, ভেজাল ওষুধ আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অসংখ্য খামার। কিছু টিকে আছে, তবে সেগুলোও চলছে খুড়িয়েখুড়িয়ে। মাওনার আব্দুস সালামের খামারে মুরগী ছিল ২০ হাজার। কিন্তু এখন তা নেমে এসেছে ৩ হাজারে। এই উদ্যোক্তা জানালেন, এভাবে চলতে থাকলে দ্রুতই পিছু হটতে হবে তার। সালাম বলেন, মেডিসিনের দাম বেশি, খাবারের দাম বেশি। মানুষ লস খেতে খেতে এখন খামার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। একি অবস্থা অন্যান্যা উদ্যোক্তারও। তারা বলেছেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম যখন বেড়ে গেছে তখন আর খরচ মেলাতে পারছি না। আমাদের লস হয় পর্যায়ক্রমে, তাই বন্ধ করে দেই। জেলা পোল্ট্রি অ্যাসোয়সিয়েশনের তথ্য বলছে এ পর্যন্ত বন্ধ হওয়া খামারের সংখ্যা ৮ হাজার। যদিও এর পেছনে মুরগি পালনে খামারিদের অদক্ষতাকে দায়ী করলেন নেতারা। এদিকে ভেজাল ওষুধ ও নিম্নমানের খাবার বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার।