ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বোতলজাত পানির দাম বাড়ল ৫০ শতাংশ

বোতলজাত পানির দাম বাড়ল ৫০ শতাংশ

এক লাফে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বোতলজাত পানির দাম। অন্যদিকে বিগত ২ মাসের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়েছে কোমল পানীয়র দাম। এই বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে চিঠিও দিয়েছে তারা। তবে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলেছে, অধিক শক্তিশালী হয়েও অন্যের কাঁধে দায়িত্ব চাপিয়ে নিজেদের দুর্বলতাকে প্রকাশ করেছে কমিশন।

ব্যবস্থা না নিয়ে পানি এবং পানীয়র অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। উচ্চমূল্যের চাপে নাকাল ভোক্তারা যখন পড়েছেন বাজার চাহিদা মেটাতে না পারার আকালে; তখন এক লাফে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়েছে এক বোতল খাবার পানির দাম। এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে এক ক্রেতা বলেন, ৫০০ মিলিলিটারের পানির দাম ২০ টাকা। এটি তো অবশ্যই বেশি। পানির দাম বেড়ে যাওয়াটা আমাদের জন্য অবশ্যই অস্বস্তিকর। এদিকে এক বিক্রেতা বলেন, বাড়তি দামে বাধ্য হয়ে পানি কিনতে হয়েছে। এখন কী কারণে দাম বেড়েছে, সেটির সঠিক কারণ জানা নেই।

গত ২০ আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের বাজার পরিদর্শনের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, ছয়টি ব্র্যান্ড যেমন- কিনলে, অ্যাকোয়াফিনা, মাম, ফ্রেশ, পুষ্টি, জীবন হাফ লিটার পানির দাম ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়েছে এবং বাজারও রয়েছে ওই ৬টি ব্র্যান্ডের দখলে। শুধু তা-ই নয়, ২০ টাকার পানিতে পাইকারি ও খুচরা মূল্যে ৮ থেকে ৯ টাকা ব্যবধান পেয়েছে কমিশন, যার কোনো কারণ বা ব্যাখ্যা নেই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। তারা জানান, ২৫০ মিলি আগে ১০ টাকা দরে বিক্রি হতো।

এখন তা ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কোম্পানি বাড়িয়েছে, তারাই বলতে পারবে। কমিশনের ৪ সেপ্টেম্বরের আরেকটি প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন ব্র্যান্ড যেমন- কোকাকোলা, সেভেন আপ, মিরিন্ডা, আরসি, ফান্টা, মোজো, স্প্রাইট, স্পিড, টাইগারসহ সব ব্র্যান্ড কোমলপানীয়র দাম ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধিকে ‘অস্বাভাবিক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পানি এবং পানীয়র অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে চিঠিও দিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, প্রাইস ম্যানিপুলেশনটি এ রকম যে বিক্রেতা রয়েছে, তাকে বলা হচ্ছে যে তুমি ৫ টাকা বেশি নেবে, কিন্তু আমাকে দিতে হবে না, আমাকে তুমি আগে যে রেট দিতে তা দিলেই হবে।

আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক একটি প্রতিকার চেয়েছি। কাজেই প্রশ্ন উঠেছে, কমিশন বেশি শক্তিশালী হয়েও কেন দায়িত্ব দিলো অধিদপ্তরকে? ক্যাবের মতে, এমন পদক্ষেপে অন্যের কাঁধে দায়িত্ব দিয়ে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে কমিশন। কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, অবশ্যই প্রতিযোগিতা কমিশনের তাদের আইন অনুযায়ী সরাসরি ব্যবস্থা নেয়া বেশি যুক্তিযোগ্য।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত