ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টুকরো খবর : এফএও

বিশ্বব্যাপী ১৫ বছরে সর্বোচ্চ চালের দাম আগস্টে

বিশ্বব্যাপী ১৫ বছরে সর্বোচ্চ চালের দাম আগস্টে

অন্যান্য খাদ্যপণ্যের দাম কমার সত্ত্বেও আগস্ট মাসে বিশ্বব্যাপী চালের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। মূলত ভারতের চাল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপের পর গত মাসে বিশ্বব্যাপী চালের দাম বাড়তে বাড়তে ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠে যায়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বরাতে এমন তথ্যই জানিয়েছে দ্য ওয়্যার। গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এফএও এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের ইন্ডিকা সাদা চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে আগস্ট মাসে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও চালের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। ফলে ওই সময়ে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছে যায়। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ভারতের দেয়া ওই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং রপ্তানি বিধিনিষেধের নিয়ে বাজারে উদ্বেগ দেখা দেয়। ফলে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধাপের বিক্রেতারা চাল মজুত করে রাখতে থাকেন। এতে বাণিজ্যের পরিসর কমে আসে এবং চালের বিক্রি কমতে থাকে। গত ২০ জুলাই বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত বাসমতি ছাড়া অন্য সব চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দেশটির মোট চাল রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশই হচ্ছে এই অন্য সব জাতের চাল। পরে ২৫ আগস্ট থেকে সিদ্ধ চাল রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দেশটি। এরপর বাসমতি চাল রপ্তানিতে টনপ্রতি ন্যূনতম দাম বেঁধে দিয়েছে ভারত সরকার। এখন থেকে টনপ্রতি কমপক্ষে ১ হাজার ২০০ ডলারে বাসমতি চাল রপ্তানি করতে হবে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের। নন-বাসমতি চালের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময়ে ভারত জানিয়েছিল, নন বাসমতি সাদা চালের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশের অভ্যন্তরে চালের দাম কমে আসবে।

তবে সে সময়ে ভুটান, মরিশাস এবং সিঙ্গাপুরকে এই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার আওতারে বাইরে রাখার ঘোষণা দিয়েছিল ভারত। এফএও জানিয়েছে, বিশ্বের ৪০টিও বেশি দেশ তাদের অর্ধেকেরও বেশি চাল আমদানির জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করে। এমনকি কিছু কিছু আফ্রিকান এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো তাদের মোট চাল আমদানির ৮০ শতাংশেরও বেশি সংগ্রহ করে ভারত থেকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত