ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

খুচরা মূল্যের চেয়ে ৯ টাকা কম পাইকারিতে

খুচরা মূল্যের চেয়ে ৯ টাকা কম পাইকারিতে

পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পাঁচটি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করেছে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। বাণিজ্য টিপু মুনশি দাম নির্ধারণের এই তথ্য সাংবাদিকদের জানানোর পরের দিন গতকাল শনিবার খাতুনগঞ্জে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়। অর্থাৎ সরকার নির্ধারিত খুচরা মূল্যের চেয়ে ৯ টাকা কম দামে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। শুধু তাই নয়, নগরীর কিছু কিছু মুদি দোকানে খুচরায়ও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে দুই থেকে তিন টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। সরকারের দাম বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম নির্ধারিত হয় চাহিদা ও জোগানের ওপর। চাহিদা যখন বেড়ে যায়, তখন বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ে। আবার চাহিদা যখন কম থাকে, তখন বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে থাকে। কিন্তু সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় এখন বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও বেশি দাম নেওয়ার সুযোগ থাকে। অন্যদিকে আমদানিতে পেঁয়াজের দাম বেশি পড়লে লোকসানের ভয়ে কেউ পেঁয়াজ আমদানি করবে না। এতে বাজারে পেঁয়াজের সংকট তৈরি হবে। তখন দাম আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সরকার এখন দাম বেঁধে দেওয়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে। গত দুই সপ্তাহ ধরে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম বেঁধে দেওয়ায় কাল থেকে দেখবেন খাতুনগঞ্জে দাম বেড়ে যাবে। খাতুনগঞ্জে দাম বেড়ে বিক্রি হবে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। সেটা খুচরায় গিয়ে ঠেকবে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। এর আগে চিনির ক্ষেত্রেও আমরা সেটি দেখেছি।’ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিবেশী দেশ ভারত পেঁয়াজ আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ককর আরোপের পর গত ২০ আগস্ট খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কেজিতে এক লাফে ১৫ থেকে ১৬ টাকা বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত