ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কমেছে ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলার হার

কমেছে ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলার হার

ডলার সংকট মোকাবিলায় আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ। এর জন্য চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ভোগ্য পণ্যের এলসি খোলা কমেছে ৩৯.২৫ শতাংশ। একই সময়ে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য, জ্বালানি তেল- সব কিছুরই এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি আগের চেয়ে কমছে। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সৃষ্ট অনিশ্চয়তায় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের পণ্যের মূল্য ও জাহাজভাড়া বেড়ে যায়। এর সঙ্গে যোগ হয় ডলারের উচ্চমূল্য। এসব কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। একই কারণে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ডলার সাশ্রয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে গত বছরের এপ্রিলে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্য সব ধরনের পণ্য আমদানিতে শতভাগ এলসি মার্জিন আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্যে ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিং হচ্ছে কি না, সেটিও নিয়মিত যাচাই শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে আমদানি ঋণপত্র খোলার পরিমাণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এত দিন আগের খোলা বকেয়া এলসি নিষ্পত্তির চাপ বেশি থাকলেও এখন সেটিও আগের চেয়ে কমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্টে) বিভিন্ন পণ্যের এলসি খোলা হয়েছে এক হাজার ৫২ কোটি ডলারের। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮.১৪ শতাংশ বা ১৭৩ কোটি ডলার কম। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বিভিন্ন পণ্যের এলসি খোলার পরিমাণ ছিল এক হাজার ২২৫ কোটি ডলার। একই সময়ে আগের এলসি নিষ্পত্তি কমেছে প্রায় ২২.২৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে সর্বোচ্চ ৩৯.২৫ শতাংশ এলসি খোলা কমেছে ভোগ্য পণ্য আমদানির। এই পণ্যের এলসি খোলা হয়েছে মাত্র ৯২ কোটি ডলারের, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৫২ কোটি ডলারের বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭.৬৪ শতাংশ এলসি খোলা কমেছে শিল্পের কাঁচামালের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত