ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দেশে পাইকারিতে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ভোজ্যতেলের দাম

দেশে পাইকারিতে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ভোজ্যতেলের দাম

কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা না থাকা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেটে ধস নামায় দেশের বাজারে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে তিনদিনের ব্যবধানে লিটারে ৫ টাকা কমে সয়াবিন তেল ১৫০ টাকায় এবং পাম তেল ১১৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা সরকারের বেঁধে দেয়া দরের চেয়ে অন্তত ১০ টাকা কম। গতকাল রোববার খাতুনগঞ্জে প্রতি লিটার খোলা পাম ১১৯ টাকায় এবং সয়াবিন তেল ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতি লিটার খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৯ টাকায় এবং সয়াবিন তেল ১৫০ টাকায়। অবশ্য বৃহস্পতিবারও প্রতি লিটারে ৫ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হয়েছে। মূলত বাজারে ক্রেতা সংকটের কারণে তেলের দাম কমাতে বাধ্য হয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। ভোজ্যতেলের দাম কমার বিষয়ে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের খুচরা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এক সপ্তাহ ব্যবধানে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আরেক খুচরা ব্যবসায়ী চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স আব্বাস সওদাগরের ম্যানেজার জাফর আহমদ বলেন, ‘আমরা খুচরা পর্যায়ে দেখছি চাহিদা কমছে। যে লোক আগে ৫ কেজি সয়াবিন তেল কিনতো, সে এখন কয়েক মাসের জন্য ২ কেজি সয়াবিন তেল কিনছে।’ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদিনেই কমছে ভোজ্যতেলের বুকিং রেট। কয়েকদিনের ব্যবধানে অন্তত ৭০ ডলার কমে প্রতি টন সয়াবিন ১ হাজার ৩০ মার্কিন ডলার এবং পাম অয়েল ৮৯০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এরই প্রভাব দেশের বাজারে পড়ছে উল্লেখ করে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স সবুজ কমার্শিয়ালের মালিক শাহেদ উল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে। তাই স্বাভাবিকভাবে দেশের বাজারেও দাম কমছে। বছরে বাংলাদেশে প্রায় ২৩ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। খুচরা বাজারে ক্রেতা সংকট এবং দাম কমার প্রভাবে বড় ধরনের ধস নেমেছে ভোজ্যতেলের পাইকারি পর্যায়েও। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স আরএম এন্টারপ্রাইজের মালিক আলমগীর পারভেজ বলেন, সরকার প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৬৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১২৪ টাকা নির্ধারিত করে দিয়েছে। তারপরেও কিন্তু আমরা আমাদের স্থানীয় বাজারে পণ্যের ক্রেতা পাচ্ছি না। উল্লেখ্য, বছরে বাংলাদেশে প্রায় ২৩ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে, যা দেশের ৮ থেকে ১০টি প্রতিষ্ঠান আমদানির পর পরিশোধনের মাধ্যমে বাজারজাত করছে। বাংলাদেশের ভোজ্যতেলের বাজার প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। তাই বিদেশি বুকিং রেটের ওপর নির্ভর করে দেশের বাজারে এই তেলের দর উঠানামা। তবে এখন যেহেতু আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের ভোজ্যতেলের বুকিং রেট কম রয়েছে, তাই তার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। ফলে কমছে ভোজ্যতেলের দাম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত