অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৩.৮৪ শতাংশ
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
গত অর্থবছরের তুলনায় এডিপি বাস্তবায়ন হার প্রায় একই থাকলেও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গত অর্থবছর অনেক প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। এ কারণে এডিপিতে অর্থ ব্যয়ও কম হয়েছিল। কিন্তু চলতি অর্থবছর উন্নয়ন প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও অর্থ ব্যয়ে গতি আসেনি বলে জানান আইএমইডির কর্মকর্তারা। নির্বাচনি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে গতি আসেনি। বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এডিপি বরাদ্দের মাত্র ৩.৮৪ শতাংশ (১০ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা) অর্থ ব্যয় করতে সক্ষম হয়েছে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপির আকার ২, ৭৪, ৬৭৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১, ৬৯, ০০০ কোটি টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৯৪, ০০০ কোটি টাকা এবং বাকি ১১, ৬৭৪ কোটি টাকা বিভিন্ন সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে গঠিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বাস্তবায়নের হার ছিল মোট বরাদ্দ ২, ৫৬, ০০৩ কোটি টাকার ৩.৮৫ শতাংশ (৯, ৮৪৪ কোটি টাকা)। গত অর্থবছরের তুলনায় এডিপি বাস্তবায়ন হার প্রায় একই থাকলেও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গত অর্থবছর অনেক প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার।
এ কারণে এডিপিতে অর্থ ব্যয়ও কম হয়েছিল। কিন্তু চলতি অর্থবছর উন্নয়ন প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও অর্থ ব্যয়ে গতি আসেনি বলে জানান আইএমইডির কর্মকর্তারা। এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে সরকারি তহবিলের বরাদ্দের ব্যয় কিছুটা বাড়লেও বৈদেশিক ঋণের বরাদ্দের ব্যবহার কমেছে। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে সরকারি তহবিলের বরাদ্দ থেকে ব্যয় হয়েছে ৩.৭০ শতাংশ যা চলতি অর্থবছরে বেড়ে হয়েছে ৪.০৬ শতাংশ। অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণের ব্যবহার ৩.৮৫ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ০.৫৮ শতাংশ।
সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ব্যয় করেছিল ৬.১৩ শতাংশ; যা চলতি অর্থবছরে ২.২৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আগের অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ ৭ শতাংশের বেশি অর্থ ব্যয় করতে সক্ষম হলেও এবার এসব মন্ত্রণালয়-বিভাগের অর্থব্যয়ের হার কমেছে।
চলতি অর্থবছরের একইসময়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ ৬.২৬ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগ ৩.৩১ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে। অর্থ ব্যয়ের এই চিত্র অনান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ক্ষেত্রেও। আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, সরকারি তহবিলের বরাদ্দ পাওয়া ২০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ জুলাই-আগস্ট সময়ে ১ শতাংশ শতাংশেরও কম অর্থ ব্যয় করেছে বা কোনো অর্থ ব্যয় করতে পারেনি।
এ ধরনের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে-স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ১১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বৈদেশিক সহায়তা বরাদ্দের কোনো অর্থই ব্যয় করতে পারেনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।