বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডে কর আরোপ
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি অর্থবছর থেকে বেসরকারি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মচারী কল্যাণ তহবিল থেকে অর্জিত আয়ের ওপর কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। শুধু তাই নয়, এই আয়ের ওপর ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। ২০২৩ সালের আইনে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ওপর কর আরোপের এই বিধানটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি খাতের প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি তহবিল ও শ্রমিকদের লভ্যাংশের তহবিলে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক এবং করছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে, আয়কর আইনে সরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডগুলোকে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এবং বিধানটির সমালোচনা করছেন। ফরেন ইনভেস্টার্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির বলেন, ‘কর আদায়ের আরো অনেক উপায় আছে। সাধারণত কর্মচারীরা অবসর গ্রহণের পর প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে উপকৃত হন। তাই অবসরকালীন সুবিধার ওপর সরকারের কর আরোপ করা উচিত নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘আবার কর আরোপের বিধানে বেসরকারি-সরকারি খাতের প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সমানভাবে বিবেচনা করা হয়নি, যা বৈষম্যমূলক।’
তারা প্রভিডেন্ট ফান্ডে কর প্রত্যাহারের জন্য কর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবেন বলে জানান টিআইএম নুরুল কবির। একজন বিশ্লেষক বলেন, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি বেসরকারি খাতে কর্মরতদের জন্য অবসরকালীন সুবিধা। বেসরকারি কর্মচারীরা বলছেন, যেহেতু এই ফান্ডগুলো এক ধরনের সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করে, তাই এগুলোর ওপর কোনো কর আরোপ করা হলে অবসরকালীন সুবিধা কমে যাবে। নেসলে বাংলাদেশের করপোরেটবিষয়ক পরিচালক দেবব্রত রায় চৌধুরী বলেন, ট্রাস্ট ফান্ডের ওপর আয়কর চালু হলে এ ধরনের স্কিম থেকে সামগ্রিক আয় কমবে।
যা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের ওপর দীর্ঘমেয়াদে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। তিনি বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিষয়টি সমাধান করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।