ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর

প্রথম দুই মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১৫%

প্রথম দুই মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১৫%

এনবিআর কর্মকর্তারা বলেছেন, বাজেটে বেশকিছু খাতের অব্যাহতি সুবিধা কমিয়ে আনা কিংবা প্রত্যাহার করা এবং সিগারেট, বেভারেজ, জমি নিবন্ধনসহ কিছু খাতে ট্যাক্স ও ভ্যাট বাড়ানোর ফলে রাজস্ব আদায়ে ভালো প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। অর্থনীতিতে প্রত্যাশিত গতি না থাকলেও রাজস্ব আদায়ে অপেক্ষাকৃত ভালো প্রবৃদ্ধি দেখছে ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ (এনবিআর)। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুইমাসে এনবিআরের রাজস্ব আদায় বেড়েছে ১৪.৭৪ শতাংশ। মূলত স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট ও আয়কর আদায় বৃদ্ধি এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস, অর্থাৎ জুলাই ও আগস্ট সময়ে ৪৬ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে সরকারের, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪.৭৪ শতাংশ বেশি। অবশ্য তা সত্ত্বেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪ হাজার ৮৭ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে আলোচ্য সময়ে। এনবিআর কর্মকর্তারা বলেছেন, বাজেটে বেশকিছু খাতের অব্যাহতি সুবিধা কমিয়ে আনা কিংবা প্রত্যাহার করা এবং সিগারেট, বেভারেজ, জমি নিবন্ধনসহ কিছু খাতে ট্যাক্স ও ভ্যাট বাড়ানোর ফলে রাজস্ব আদায়ে ভালো প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে, ফাঁকি বন্ধে তদারকি বাড়ানো এবং কিছু আমদানি পণ্যে নতুন করে ভ্যালুয়েশনের মাধ্যমে কাস্টমস ডিউটি আদায় বাড়ানোও এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন তারা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগের বছরের তুলনায় এ বছর বেশ কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট বসানো হয়েছে বেশি। ফলে, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ওই খাতগুলো থেকে আরো বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে। এছাড়া সরকার ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস চালু করছে। ফলে ভবিষ্যতে ট্রেডিং পর্যায়ে ভ্যাট আদায় আরো বাড়তে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এনবিআর সূত্র জানায়, দুই মাসে ভ্যাট আদায় বেড়েছে আগের অর্থবছরের একই সময়ে তুলনায় ২০ শতাংশের কাছাকাছি। আর ইনকাম ট্যাক্স আদায় বেড়েছে ১৬ শতাংশের ওপরে। অবশ্য এনবিআরের এমন প্রবৃদ্ধির হারকে ভালো বলতে নারাজ বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘ইয়ার-অন-ইয়ার গ্রোথ ১৬ শতাংশ দেখে সন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই। এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ শতাংশের ওপরে। ফলে এই গ্রোথ যথেষ্ট নয়।’ তিনি বলেন, ‘বাজেটে কিছু মেজারস নেওয়ায় হয়তো ইঙ্কাম ট্যাক্স আদায় ১৬ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আশানুরূপ ভালো নয়।’ গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে এনবিআর রাজস্ব আদায় করেছে ৩ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরে এনবিআরের আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। সেই বিবেচনায় চলতি বছর গড়ে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন ৩০ শতাংশের মত। এনবিআর হিসাব অনুযায়ী, গত পাঁচ অর্থবছরে গড়ে প্রতি বছর রাজস্ব আদায় বেড়েছে ১১ শতাংশের কাছাকাছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত