অর্থপাচার ও অবৈধ লেনদেন প্রতিরোধে ব্যাংকগুলোকে কঠোর নির্দেশনা
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
অর্থপাচার ও অবৈধ লেনদেন প্রতিরোধে ব্যাংকগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বিএফআইইউ মতে, বর্তমানে বিদেশে অর্থ পাচারসহ বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে অর্থপাচার, ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ অনলাইনে অবৈধ লেনদেন, ডিজিটাল হুন্ডি অনেক বেশি বেড়েছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা ও উপপ্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএফআইইউ’র প্রধান কর্মকর্তা মো. মাসুদ বিশ্বাস এই নির্দেশনা দিয়েছেন। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ’র উপপ্রধান কর্মকর্তা এএফএম শাহীনুল ইসলাম, বিএফআইইউ’র পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. আরিফুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা। বিএফআইইউ প্রধান কর্মকর্তা মো. মাসুদ বিশ্বাস বলেন, কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ গ্রহণ করে বা নন-ফান্ডেড সুবিধাকে ফান্ডেড সুবিধায় রূপান্তর ও ফোর্সড লোন সৃষ্টি করে বিদেশে অর্থ পাচারসহ বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং/গেমিং/বেটিং, ডিজিটাল হুন্ডি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ঘটনা ব্যাংকগুলোতে ঘটছে। যা বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে। এছাড়া দেশ থেকে প্রচুর শ্রমিক দেশের বাইরে গেলেও রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে। যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় দেশে কার্যরত ব্যাংকসমূহের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতি করে অর্থ পাচার, বাণিজ্যভিত্তিক মানিলন্ডারিং, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং/গেমিং/বেটিং, ডিজিটাল হুন্ডি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ঘটনা উদ্ঘাটিত হয়েছে, যা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়। এসব বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে আরও বেশি সচেতন থাকার নির্দেশনা দেন তিনি। দুষ্কৃতকারী ও অর্থ পাচারকারীরা যাতে ব্যাংকিংব্যবস্থা ব্যবহার করে কোনো অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।