আফগানিস্তানের মুদ্রাই এখন বিশ্বসেরা
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
আফগানিস্তান দুর্ভাগ্যপীড়িত একটি দেশ। দেশটিতে চলতি বছর প্রায় ৩২০ কোটি ডলার বিদেশি সহায়তা দরকার। তালেবান শাসিত দেশটির দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর মতো অর্থ নেই। এসব সমস্যার পরও সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশটির মুদ্রা আফগানি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রার তকমা পেয়েছে। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনের বরাতে এনডিটিভি জানায়, আফগানিস্তানে প্রতি সপ্তাহে জাতিসংঘের কয়েক কোটি ডলার সহায়তা আসে। সব আসে ক্যাশে। আরও কিছু আন্তর্জাতিক এনজিও দেশটিতে কাজ করে।
তারাও প্রতি মাসে তাদের প্রয়োজনীয় অর্থ দেশটিতে পাঠায়। এসব কিছুর বাইরে দুই বছর আগে ক্ষমতায় আসা তালেবান সরকারও দেশটির মুদ্রা আফগানিকে শক্তিশালী রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় লেনদেনে ডলার ও পাকিস্তানি রুপির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা। পাশাপাশি দেশের বাইরে থেকে ডলার নিয়ে যাওয়ার ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। অনলাইন বাণিজ্যও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব আইন না মানলে কারাদণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ, নগদ অর্থের প্রবাহ ও রেমিট্যান্সের কারণে চলতি প্রান্তিকে আফগানির মান ৯ শতাংশ বেড়েছে। এটি কলম্বিয়ার মুদ্রা পেসো থেকে ৩ শতাংশ বেশি। এ নিয়ে চলতি বছর আফগানির মান ১৪ শতাংশ বাড়ল। সেই হিসাবে এ বছর কলম্বিয়া ও শ্রীলঙ্কার পরই বিশ্বের তৃতীয় সেরা মুদ্রা হচ্ছে আফগানি। আফগানি রেকর্ড শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও আফগানিস্তানের সমস্যা রয়েই গেছে। দেশটিতে বেকারত্বের হার ব্যাপক। দুই-তৃতীয়াংশ পরিবারই মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এতদিন ছিল মূল্যস্ফীতি, এখন তা মূল্য-সংকোচনে রূপ নিয়েছে। ২০২১ সালের শেষ থেকে দরিদ্রদের সহায়তার জন্য প্রায় প্রতি সপ্তাহেই জাতিসংঘের সাহায্য যাচ্ছে আফগানিস্তানে। ওয়াশিংটনের নিউ লাইনস ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসির মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কামরান বোখারি বলেন, ‘মুদ্রার কঠোর নিয়ন্ত্রণ কাজে দিয়েছে। তবে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে এটি বেশিদিন টিকবে না। এ কারণে পরে আরও সংকটে পড়তে হবে দেশটিকে।’