বিদেশি ঋণ পরিশোধ করছে সরকার

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ-ইআরডির হিসাব অনুযায়ী, এ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল মিলে পরিশোধ করতে হয়েছে ৪০ কোটি ডলার, যা আগের একই সময়ের চেয়ে ৩৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাত্র ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধের পরিমাণ ৪ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। গত দুই মাসে মূল ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ২৯ শতাংশ। এ সময় মূল ঋণ পরিশোধ করা হয় ২৫ কোটি ৪১ লাখ ডলার, গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৯ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। আর শুধু সুদ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫৮ শতাংশ। ১৪ কোটি ৬৩ লাখ ডলার সুদ পরিশোধ করা হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯ কোটি ২৮ লাখ ডলার। অন্যদিকে, ঋণ এবং অনুদান মিলে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থের পরিমাণ অর্থাৎ অর্থছাড় কমেছে ১১ শতাংশ। মাত্র ৭৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার পাওয়া গেছে গত দুই মাসে। গত অর্থবছরের এ দুই মাসে যার পরিমাণ ছিল ৮৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার। অর্থাৎ, একদিকে ঋণের সুদ এবং আসল পরিশোধের চাপ বেড়েছে, অন্যদিকে উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থছাড় কমেছে। ইআরডির প্রাক্কলন অনুযায়ী, এ অর্থবছরে ৩২৮ কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হবে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছর এর পরিমাণ ছিল ২৭৪ কোটি ডলার। বিদেশি ঋণের ছাড়, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই, রপ্তানি কিংবা প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স)- কোনো উৎস থেকেই নেই সুখবর। ডলারের সব উৎসে চলছে ভাটার টান। অন্যদিকে বিদেশি ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হচ্ছে আগের চেয়ে ঢের। এ ঋণে সুদের হারও এখন বেশি। একে তো ডলার আসছে কম, আবার পরিশোধ করতে হচ্ছে বেশি। এ দ্বিমুখী পরিস্থিতি রিজার্ভ সংকটের চাপকে আরো অসহনীয় করে তুলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ গত ২৬ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, রিজার্ভ ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১০ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পদ্ধতিতে এ হিসাব করা হয়েছে।