ডলার সংকট ও এলসি (ঋণপত্র) খোলার জটিলতায় চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। তবে গত অর্থবছরের এই সময়ের তুলনায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা বেশি আয় করেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আসা কমলেও বেড়েছে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলেও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্য থেকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ১৬ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলেও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। যে সময়ে আদায় হয়েছিল ১৫ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জ্বালানি তেল আমদানি থেকে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৩০১ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়া গেছে। এছাড়া অন্যান্য খাতের মধ্যে সিমেন্ট ক্লিংকার থেকে এসেছে ৬৭৯ কোটি টাকা, পাম তেলে ৫৪৬ কোটি টাকা, পেট্রোলিয়াম অয়েল থেকে ৩৮৪ কোটি টাকা এবং পাথর থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৮৬ কোটি টাকা। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপকমিশনার ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, লাইমস্টোন ও কয়লার মতো পণ্যের আমদানি বেড়েছে। বিপরীতে সিমেন্টের ক্লিংকারসহ অন্যান্য কিছু পণ্যের আমদানি কমেছে। এছাড়া সার্বিকভাবে আমদানি গত বছরের আমদানি হারের প্রায় সমানই রয়েছে। কিন্তু আমাদের রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি বেশ ভালো। মূলত ডলার সংকট এবং এলসি খোলার জটিলতার প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য ওঠানামায়। বিশেষ করে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং গত বছরের তুলনায় সামান্য বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি আসছে না। তবে আগামী মাস থেকে এই রেশ কাটার আশা প্রকাশ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমদানি-রপ্তানির হার একটু কম থাকলেও দেখা যাবে আমদানি মাসে তা আবার বেড়ে গেছে। কাজেই আমরা আশা করছি, আগামী মাসে আমদানি-রপ্তানি একটু বাড়বে।’ বড় ধরনের জাহাজ আসার সংখ্যা বাড়ায় বন্দরে জাহাজ আসা কমেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব। এদিকে আমদানি কমায় চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আসার পরিমাণও কমে গেছে। তবে বড় ধরনের জাহাজ আসার সংখ্যা বাড়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক। তিনি বলেন, গত তিন মাসের পরিসংখ্যান যদি দেখি আমাদের কনটেইনার হ্যান্ডলিং এবং কার্গো হ্যান্ডলিং দুটোই মোটামুটি কিছুটা বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে।