ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘কারওয়ানবাজার পণ্যের দাম বাড়ানোর মেশিন’

‘কারওয়ানবাজার পণ্যের দাম বাড়ানোর মেশিন’

কারওয়ানবাজার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির মেশিন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময় সভায় কথা বলছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময় সভায় কথা বলছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, সুপারশপগুলো যদি সরকারি দামে পণ্য বিক্রি করতে পারে তাহলে কাঁচাবাজারগুলো কেন পারবে না। প্রতিটি কাঁচাবাজার সিন্ডিকেট তৈরি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে রাখছে। বিশেষ করে, কারওয়ানবাজারকে আমি বলব পণ্যের দাম বৃদ্ধির মেশিন। তিনি আরো বলেন, কারওয়ানবাজারে অভিযান করে দেখা গেছে, এখানে ৩২ টাকার শসা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আলু প্রতি কেজি ২৭ টাকার জায়গায় বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। এদের নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন। ব্যবসায়ীরা যোগসাজশ করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন মন্তব্য করে মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেখান থেকে উৎপাদন করা হয়, সেখান থেকেই তদারকি করতে হবে। নাহলে এই সিন্ডিকেট ভাঙা কঠিন হয়ে পড়বে। খুচরা বাজারে যখন যাই তখন আমাদের বলা হয়, তাদের কাছে ক্যাশ মেমো নেই।

পাইকারি বাজার থেকে তাদের রসিদ দেয়া হয়নি। এভাবে রসিদ ছাড়া পণ্য বিক্রি করা যায় না।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আলুর গুদামে গিয়ে দেখি, এক ব্যবসায়ী ১০ হাজার বস্তা আলু কোলেস্টেরলে রেখেছেন। ২০ টাকা কেজি দরের আলু ২৫ টাকায় বিক্রি করে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা লাভ করছেন। সেই আলু তিনি মাসখানেক পর ৩৭ টাকা দরে বিক্রি করে কেজিতে লাভ করেন ১২ টাকা।

এভাবে সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়াই ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করছেন উল্লেখ করে আবদুল জব্বার বলেন, ‘এক ব্যবসায়ী ১ লাখ ডিম বিক্রি করেছেন। অথচ তার কাছে কোনো রসিদ নেই। তিনি ভ্যাট-ট্যাক্সও দিচ্ছেন না। এভাবে তো চলতে পারে না। আইনকানুন মেনেই ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। আমরা সবাই একযোগে কাজ করলে তবেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত