মিষ্টি-কেক বিক্রিতে লাগবে বিএসটিআইয়ের মান সনদ

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

এখন থেকে সব ধরনের মিষ্টি, কেক, গ্রিন টি, চাটনি, কাজলসহ আরো ৩৬টি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে বাধ্যতামূলক বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মান সনদ নিতে হবে। সনদ না নিয়ে বিক্রি করলে প্রতিষ্ঠানটি আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। বিএসটিআইয়ের পক্ষে জানানো হয়েছে, এ উপলক্ষ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিল্প মন্ত্রণালয়। এর আগে ২২৯টি পণ্যের বাধ্যতামূলক সনদ নিতে হতো, যাতে গত ডিসেম্বর মাসে নতুন ১০টি পণ্য যুক্ত করা হয়। এবার আরো ৩৬টি পণ্য যুক্ত করা হলো। কিন্তু আগে তিনটি পণ্য একটি সনদের আওতায় নিয়ে আসার কারণে বাধ্যতামূলক সনদের আওতায় এলো মোট ২৭৩টি পণ্য।

নতুন পণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ছানা, চিজ, টুথব্রাশ, হুয়ে চিজ, ক্রিম চিজ, চুলের ক্রিম, চোখের কাজল, ভেজা টিস্যু, মশারি, তোয়ালে, সয়া সস, ডেকোরেটেড কেক, মল্টবেজড খাদ্য ও পানীয়, গ্লিসারিন, লিকুইড টয়লেট সোপ, ট্রান্সপারেন্ট টয়লেট সোপ, বিটুমিন, প্রেসার কুকার, এলপিজি সিলিন্ডার, রান্নার স্টোভ, শ্রমিকদের ব্যবহৃত হেলমেট, চটের ব্যাগ, ৩০ থেকে ৫০ কেজি আকারের খাদ্যভর্তি ব্যাগ, অটোরিকশার ব্যাটারি, ইউপিএস, পানি তোলার মোটর ইত্যাদি। বিএসটিআইয়ের পক্ষে বলা হয়েছে, এসব পণ্য লাইসেন্স ছাড়া উৎপাদন, বিক্রি বা বিতরণ করা যাবে না। নতুন এই পণ্যগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের হলেও বাধ্যতামূলক তালিকায় না থাকায় বিএসটিআই নজরদারি করতে পারত না। এখন তা করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে বিএসটিআইয়ের সিএম বিভাগের উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক বলেন, ‘জনগুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার মান সনদ দিন দিন বাড়াচ্ছে। আগে ছিল ১৩১টি পণ্য। মানুষের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করেই সনদের আওতায় আনা হচ্ছে। যে পণ্যগুলোর বাধ্যতামূলক মান সনদ নিতে হবে, সেগুলো প্রতিটিই ব্যবহার্য বা খাদ্যপণ্য। ব্যবহার করা পণ্যগুলোর সনদ নিলে ঝুঁকি কমবে। আর খাদ্যপণ্য যেগুলো আছে, সেগুলোর গুণগত মান সঠিক রাখার ব্যাপারে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারব। অর্থাৎ এই পণ্যগুলো যেন নিম্নমান বিতরণ ও বিক্রয় না হতে পারে সে জন্য বাধ্যতামূলক করা।’ মান সনদ নিতে আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ দুই মাসের সময় পাবেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে সনদ না নিয়ে এসব পণ্য উৎপাদন ও বাজারজার করা হলে বিএসটিআই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এতগুলো পণ্য বিএসটিআই নজরদারি করতে পারছে কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসন বিভাগের পরিচালক মো. তাহের জামিল বলেন, ‘সব পণ্যই আমাদের নজরদারির মধ্যে থাকে। তবে আমাদের কিছু সীমবদ্ধতাও রয়েছে। এখনো সব জেলায় আমাদের অফিস নেই। কিন্তু আমাদের সেসব জেলায় বিভাগীয় অফিস থেকে গিয়ে কাভার করতে হয়। আবার কিছু জেলায় অফিস আছে, সেখান থেকে গিয়ে পাশের জেলায় কাভার করতে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবনা রয়েছে সামনে আরো ১০টি জেলায় আমাদের ল্যাবসহ অফিস স্থাপন করা। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলে আমাদের কার্যক্রম চালানো আরো সহজ হবে।’