রপ্তানি আয় দেশে আনছেন না ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ডলার মার্কেটে অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি এবং ব্যাংক ঋণের সুদ হার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে আজ ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে নীতিগত যে পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে। যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে সে পরিমাণ ডলার দেশে আসছে না। বরং পণ্যমূল্য পরিশোধের জন্য সময় বাড়িয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। ফলে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশকিছু নীতিগত পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে কিন্তু এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। আশা করি, আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে এবং একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
দেশের ডলার সংকটের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের অনেকেই রপ্তানি মূল্য দেশে আনছেন না। বরং বিদেশি ক্রেতাদের পণ্যমূল্য পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। ফলে দেশ থেকে আমদানি মূল্য পরিশোধ বাবদ ডলার চলে গেলেও রপ্তানির বিপরীতে তুলনামূলক ডলার কম আসছে। তৈরি হচ্ছে ঘাটতি। এ বিষয়গুলো আমরা নজরে এনেছি এবং তা সমাধানের চেষ্টা করছি। মুখপাত্র আরো বলেন বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো তথ্য অনুযায়ী গত বছর ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে।
কিন্তু দেশে এসেছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এখানে ৯ বিলিয়ন ডলারের একটি ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র বলেন, অত্যাধিক মূল্যে ডলার কেনার জন্য ১০ ব্যাংকের ট্রেজারি কর্মকর্তাকে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা মওকুফের বিষয়টি বিবেচনা করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।