ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ট্রাকে ডিম বিক্রি কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত

ট্রাকে ডিম বিক্রি কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত

সরকার খামার পর্যায়ে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয় গত মাসে। কিন্তু দুই মাসেও এ দাম কার্যকর করা যায়নি। উল্টো গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিটি ডিমের দাম নতুন করে ১ টাকা করে বেড়েছে। ফার্মের মুরগির ডিমের ঊর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় ট্রাকসেলের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত দরে ডিম বিক্রি শুরু করেছিল প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। গত সোমবার কার্যক্রমটির উদ্বোধন হলেও তিন দিন বাদেই গতকাল বৃহস্পতিবার এ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘কার্যক্রমটি পরিচালনায় সমন্বয়ের সমস্যা হচ্ছে। একা কাজটি করতে হাঁপিয়ে উঠেছি। তাই আজ শুধু বন্ধ আছে। কাল আবার শুরু করবো।’ গত সোমবার কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনের সামনে থেকে এই বিপণনের কাজ শুরু করে সংগঠনটি। পরদিন থেকে ঢাকা শহরের ১৬টি স্থানে এ ধরনের বিপণন কাজ বিস্তৃত করার কথা ছিল। তবে আগামীতে এ কার্যক্রম সীমিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। সুমন হাওলাদার বলেন, ‘আগামীকাল বড় কয়েকটি স্পটে ডিম বিক্রি করা হবে। ১৬ স্পটে ট্রাকে করে ডিম বিক্রির কার্যক্রম অনেক ব্যয়বহুল। অনেক খামারি ডিম দিতে রাজি হচ্ছে না।’ সরকার খামার পর্যায়ে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয় গত মাসে। কিন্তু দুই মাসেও এ দাম কার্যকর করা যায়নি। উল্টো গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিটি ডিমের দাম নতুন করে ১ টাকা করে বেড়েছে। খুচরায় এক হালি ডিম ৪৮ টাকা করে বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা থেকে ৫৮ টাকায়। তবে ট্রাক সেল শুরুর পর ডিমের দাম কমেছে বলে দাবি করেন সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘ডিম বিক্রি করে লাভ করা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা চেয়েছি এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বাজারে ডিমের দাম কমে আসুক। সেটাই হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘পাইকারিতে প্রতি ১০০ ডিমের দাম ১০০ টাকার বেশি করে কমে গেছে। সপ্তাহের শুরুতে ১০০ ডিমের দাম ছিল ১ হাজার ১৮০ টাকা, যা এখন ১ হাজার ৬০ টাকায় নেমেছে। সেদিক থেকে আমাদের বিক্রি কার্যক্রম সফল।‘ তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বাজারে মাইকিং করে কম দামে ডিম বিক্রি করেছি। এতে ওই বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। বাজারে একটি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা হয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের বাড়তি লাভের প্রবণতা কমেছে।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমরা ট্রাকে করে ডিম বিক্রিতে খরচ পোষাতে পারছি না। সেক্ষেত্রে সরকার বাজারে কোন অস্থায়ী জায়গা দিলে সেখানে ব্যানার টাঙিয়ে ডিম বিক্রি করতে পারতেন খামারিরা।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত