দেশের বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার প্রতিষ্ঠানগুলোতে ন্যায্য দামে মার্কিন ডলার মিলছে না। তবে তালিকায় প্রদর্শিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম দিলে পাওয়া যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ডলারপ্রতি দাম পড়ছে ১১৯ থেকে ১২০ টাকা। দেশের রিজার্ভ কমে যাওয়া বা বৈদেশিক মুদ্রা ঘাটতির প্রেক্ষাপটে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত বুধবার রাজধানীর মতিঝিলের দিলকুশা এলাকায় বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার অন্তত ছয়টি প্রতিষ্ঠানে (মানি এক্সচেঞ্জ হাউস) গিয়ে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত দামে কেউ ডলার বিক্রি করছে না। সবাই ৭ থেকে ৯ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছে। ডলার চাইলে প্রথমে জানানো হয় নেই, কিন্তু বেশি দাম দিলে পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদক ক্রেতা সেজে ডলার কিনতে যান দোহার মানি এক্সচেঞ্জ কোং নামের একটি দোকানে। ডলার পাওয়া যাবে কি না- এমন প্রশ্নে দোকানি জানতে চাইলেন, ‘কত ডলার লাগবে?’ দেড় হাজার ডলার চাইলে তিনি বলেন, ‘ দেওয়া যাবে। তবে প্রতি ডলার ১২০ টাকা। এক দাম।’ সামান্য কম নেওয়ার অনুরোধ জানালে তিনি বলেন, ‘কম হবে না। তা-ও অন্তত ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।’ অথচ ওই দোকানের তালিকায় লেখা আছে ‘মার্কিন ডলার ক্রয় ১১১ টাকা ৯০ পয়সা, বিক্রয় ১১৩ টাকা ৪০ পয়সা। একই ভবনের দোতলায় ভাই ভাই মানি চেঞ্জার নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ডলার চাইলে কাউন্টারে বসা ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আমার কাছে ডলার নাই।’ পরে তিনি জানতে চান, ‘কত ডলার লাগবে?’ তখন এই প্রতিবেদক বলেন, ‘দেড় হাজার ডলার।’ তখন তিনি বলেন, ‘ দেড় হাজার ডলার নিতে পারবেন। দাম পড়বে ১১৯ টাকা ৮০ পয়সা। কম রাখা যাবে না। এটা আরো বাড়বে।
কয়েক দিন আগে দাম কম ছিল। যখন ডলার লাগে অফিসে চলে আসবেন। ডলার খুব একটা থাকে না। তবে দেওয়া যাবে। অফিসে আইসেন।’ সোনালী ব্যাংকের দিলকুশা শাখার সামনে দাঁড়িয়ে আজিজ নামের এক বয়স্ক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে সিঙ্গাপুরি ডলার কিনছিলেন। তার কাছে গিয়ে মার্কিন ডলারের খোঁজ করলে তিনি বলেন, ‘ডলার আছে। দেড় হাজার ডলারই দেওয়া যাবে। তবে দাম প্রতি ডলার ১২০ টাকা।’