সংসদে বিল উত্থাপন

শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন

প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ সংশোধনে বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। সংশোধন আকারে চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাস হতে পারে। নতুন আইনে কোনো প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মোট সংখ্যা ৩ হাজার পর্যন্ত হলে ট্রেড ইউনিয়ন করতে ২০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতি লাগবে। আর মোট শ্রমিক ৩ হাজারের বেশি হলে ১৫ শতাংশের স্বাক্ষরযুক্ত সম্মতি লাগবে। বিদ্যমান আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে ২০ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষরযুক্ত বা তাদের সমর্থনসহ আবেদন না করলে ট্রেড ইউনিয়ন করা যায় না। সেটিকে এখন দুই ভাগ করা হচ্ছে। এছাড়া শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়িয়ে ১২০ দিন করার প্রস্তাবও করা হয়েছে সংশোধিত শ্রম আইনে। গত রোববার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানের পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলে বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের মোট সংখ্যা ৩ হাজার পর্যন্ত হলে শতকরা ২০ ভাগ এবং ৩ হাজারের বেশি হলে শতকরা ১৫ ভাগ ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য না হলে সেটি নিবন্ধনের যোগ্য হবে না। এছাড়া একই মালিকের অধীন একাধিক প্রতিষ্ঠান যদি একই শিল্প পরিচালনার উদ্দেশ্যে একে অপরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও সম্পর্কযুক্ত হয়, তাহলে সেটি যেখানেই স্থাপিত হোক না কেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠান বলেই গণ্য হবে। বিলে নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৮ দিন বাড়িয়ে ১২০ দিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, কোনো মালিক তার প্রতিষ্ঠানে সজ্ঞানে কোনো নারীকে তার সন্তান প্রসবের পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে কোনো কাজ করাতে পারবেন না বা কোনো নারী ওই সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবেন না। বিলে একটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১০৩ অনুচ্ছেদের বিধানাবলি হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষেত্রে যেভাবে প্রযোজ্য হয় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে ক্ষেত্রেও সেভাবে প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ, ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে হবে সরাসরি আপিল বিভাগে। প্রতিষ্ঠানপুঞ্জে ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হচ্ছে নতুন বিলে।