ডলার কেনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো নতুন করে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া শুরু করায় ব্যাংকিং চ্যানেলে বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৫ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের মাসের ৩০ দিনের চেয়েও বেশি। গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এ মাসের প্রথম ২৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৪ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪৭ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫০ লাখ ডলার।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে কিছুটা বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। প্রবাসী আয়ে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা আগে থেকেই ছিল, তার সঙ্গে আরো আড়াই শতাংশ যোগ করেছে ব্যাংকগুলো। ফলে এখন ৫ শতাংশ বেশি দামে ডলার পাঠাতে পারছে প্রবাসীরা। অর্থাৎ, আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের যে দাম ঠিক করা হয়, তার চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি দাম পাচ্ছে প্রবাসীরা। এ মুহূর্তে তারা প্রতি ডলারে ১১৬ টাকা পাচ্ছে। এতে তারা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছে। প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে এখন ১১৫ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। ফলে গত মাসে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে বড় পতন দেখা গেলেও চলতি মাসে তা কিছুটা গতি পেয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেল, অর্থাৎ বৈধ পথে চলতি অক্টোবরের প্রথম ২০ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১২৫ কোটি মার্কিন ডলার। এই আয় গত মাসের পুরো সময়ের তুলনায় মাত্র ৯ কোটি ডলার কম। ফলে চলতি মাসের প্রবাসী আয় গত মাসের ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের আয়কে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ মাসের প্রথম ২০ দিনে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয়। বাকি ১৫ কোটি ডলার এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত, বিশেষায়িত ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।