এমডিদের সঙ্গে গভর্নরের বৈঠক
নির্বাচন সামনে রেখে বিশেষ নির্দেশনা
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা কৌশল, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত বিভিন্ন নীতির বাস্তবায়নসহ চলমান আর্থিক সংকট মোকাবিলায় ব্যাংকগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এমডিদের পক্ষ থেকে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে। কোন চিঠি ইস্যু না করে ব্যাংকের কয়েকজন এমডিকে ডেকে এনে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন গভর্নর। এ লক্ষ্যে গত সোমবার (৩০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন সোনালী, অগ্রণী, ব্র্যাক, সিটি, ডাচ্-বাংলা, ইসলামী ব্যাংকসহ ১০ থেকে ১২টি ব্যাংকের এমডি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রের তথ্য মতে, নির্বাচনের আগে যাতে কোনো প্রভাবশালী গোষ্ঠী ব্যাংক থেকে টাকা বের করে নিতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারণ এই মুহূর্তে নামে-বেনামে ঋণের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা বের হয়ে গেলে একদিকে যেমন ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিবে; অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। এসব টাকা বিদেশে পাচার হলে ডলার বাজার আরো অস্থির হয়ে পড়বে। এটিও মূল্যস্ফীতিতে আঘাত করবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া নীতি সুদহার বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রণীত বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এমডিদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। বিদেশে আটকে থাকা রপ্তানি মূল্য ফেরত আনা এবং ওভার-আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার বন্ধে জোড়ালো পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বৈঠকে নতুন জাতীয় পে কার্ড ‘টাকা পে’ নিয়ে একটি প্রেজেন্টশন দেয়া হয়েছে, যা আগামী ১ নভেম্বর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে কঠোর গোপণীয়তা রক্ষা করা হয়েছে। তবে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফজাল করিম বলেন, ব্যাংকগুলোর অপারেশনাল বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, বলার মতো কিছু নাই, এগুলো প্রাইভেট আলোচনা।