মহেশখালীতে ১২’শ কোটি টাকার প্রকল্প

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দরকে কেন্দ্র করে চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ নামের প্রকল্পে মোট জমির পরিমাণ ১ হাজার ২৪০ একর। এরই মধ্যে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৭০ একর জমি। কাজও চলছে পুরোদমে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা এগিয়ে নিতে সেখানে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগের জন্য প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছিল অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। সব প্রক্রিয়া শেষে প্রকল্পটি গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন হয়। পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ করা এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে। এতে মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, ১৫ কিলোমিটারের গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন, ইনডোর সাবস্টেশন স্থাপন, একটি ইটিপি নির্মাণ, ছয়তলা ভিত্তির ওপর ২ হাজার ১৫ বর্গফুটের চারতলা অফিস ভবন তৈরি, অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভেতরে ৬ কিলোমিটারের রাস্তা নির্মাণ, সাড়ে ১২ কিলোমিটারের ফুটপাথ নির্মাণ, পয়ঃনিষ্কাশনের ২৭ কিলোমিটারের সুয়ারেজ নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে। প্রকল্পটির পুরো অর্থই ঋণ হিসেবে দিচ্ছে সরকার। এতে বার্ষিক ৬ শতাংশ সুদে সরকারের কাছ থেকে ১ হাজার ১৯৫ কোটির এ ঋণ নিচ্ছে বেজা। প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার আগে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। এতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করেছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন কোম্পানি (আইআইএফসি)। তাদের দেওয়া ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই প্রকল্পটি প্রস্তাব করেছে বেজা। ২০১৪ সালে জাপান সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিআইজিবি) নামে একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এ উন্নয়ন পরিকল্পনায় মহেশখালী এলাকায় গভীর সমুদ্রবন্দরসহ সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ হাব এবং ভারী শিল্প স্থাপনার একটি রূপরেখা ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর বেজার গভর্নিং বোর্ড সভায় মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা মৌজায় ১ হাজার ২৪০ একর জমিতে মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। যেকোনো শিল্প স্থাপনার অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এরই মধ্যে ৫৭০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।