চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় অক্টোবরে

ডলারের সংকটের মধ্যে অক্টোবরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। এই মাসে প্রবাসীরা ১.৯৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ডলারের বিনিময় দর ও রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বাড়ার কারণে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, প্রবাসীরা সেপ্টেম্বরের তুলনায় আক্টোবরে রেমিট্যান্স বেশি পাঠিয়েছে ৬৪৩ মিলিয়ন ডলার, আগের মাসের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৮.২০ শতাংশ।

সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১.৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা ছিল গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৫৯ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রবাসীরা যে চ্যানেলে রেমিট্যান্সে (ডলারের) দর বেশি পায় সে মাধ্যমেই রেমিট্যান্স পাঠায়। আগে হুন্ডি বাজারে প্রবাসীরা ডলারের দাম বেশি পাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কম এসেছিল। গত মাসের শেষের দিকে রেমিট্যান্সের প্রণোদনা ২.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার ফলে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। একটি বেসরকারি ব্যাংকের কার্মকর্তা বলেন, ডলারের অতিরিক্ত দাম দেয়ার কারণে কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারিকে জরিমানা করা হয়েছিল।

যদিও পরবর্তীতে রেমিট্যান্স কম আসায় কিছু কিছু ব্যাংককে বেশি করে প্রবাসী আয় আনতে মৌখিকভাবে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যে কারণে (ব্যাংকিং চ্যানেল বা বৈধ উপায়ে) রেমিট্যান্স বাড়ছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৬.৮৮ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৭.১৯ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে, চলতি অর্থবছরের চার মাসে রেমিট্যান্স কম এসেছে ৪.৩৬ শতাংশ।