অরক্ষিত পরিবারের অন্তঃসত্ত্বা নারী ও ৪ বছরের কম বয়সি শিশুর মায়েদের কল্যাণ ও পুষ্টি নিশ্চিতে বাংলাদেশকে ২১ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। এই প্রকল্পের আওতায় ১৭ লাখ মানুষকে অর্থসহায়তাসহ পরামর্শ সেবা দেওয়া হবে। বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের প্রধান আবদুল্লায়ে সেক বলেছেন, এখন যে শিশুদের জন্ম হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা-স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় তারা নিজেদের সম্ভাবনার মাত্র ৪৬ শতাংশ অর্জন করতে পারবে। তিনি মনে করেন, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব। বলেন, গর্ভকালীন অবস্থায় মায়েদের পুষ্টি এবং জন্মের পর শিশুদের জীবনের প্রথম ১ হাজার দিনে পুষ্টিমান আর শৈশবে শিশুদের ভালো যত্নআত্তি নিশ্চিত করা গেলে শিশুর স্বাস্থ্য ও মস্তিষ্কের ভালো বিকাশ হতে পারে। শিশুদের শরীর ও মস্তিষ্কের বিকাশ নিশ্চিত করা গেলে পূর্ণ বয়সে তারা আরও উৎপাদনশীল হওয়ার পাশাপাশি এবং ভালো আয় করতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন আবদুল্লায়ে সেক। তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্পের মধ্যদিয়ে মায়েদের শিশুর যত্নআত্তি সম্পর্কে অবহিত করার পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে অর্থসহায়তা করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মানব উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অর্জন সত্ত্বেও বাংলাদেশের শিশুদের মধ্যে দুর্বল পুষ্টি এবং শিখন দারিদ্র্যের সমস্যা আছে। এটি এখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে এবং কোভিড লকডাউনের সময় তা আরো বেড়েছে। এতে শিশুদের জ্ঞানের বিকাশ এবং তাদের ভবিষ্যৎ উৎপাদনশীলতায় দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে। বিশ্বব্যাংকের এই প্রকল্প সরকারের বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি, মা ও শিশু মঙ্গল কর্মসূচির (এমসিবিপি) সম্প্রসারণ এবং শক্তিশালীকরণে সহায়তা করবে। বিশ্বব্যাংকের সামাজিক নিরাপত্তাবিষয়ক জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্প প্রধান অনিকা রহমান বলেন, অল্প বয়স থেকে শিশুদের সহায়তা করা হলে; অর্থাৎ তাদের পুষ্টিমান এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের যথাযথ পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশের জনগণের সম্ভাবনার বিকাশে সহায়ক হবে।