জিডিপির ভিত্তিতে বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশ সিঙ্গাপুর
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ভিত্তিতে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের তালিকার শীর্ষে এখন সিঙ্গাপুর। ফিন্যান্সিয়াল ওয়েবসাইট ইনসাইডার মাঙ্কির প্রকাশিত এক সূচকে অনুসারে এমন তথ্যই জানা গেছে। সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমৃদ্ধির মাত্রা পরিমাপ করতে মাথাপিছু জিডিপির পরিসংখ্যান ব্যবহার করে এই তালিকা করেছে ইনসাইডার মাঙ্কি। এই তালিকা অনুসারে, অন্যান্য দেশকে ছাপিয়ে মাথাপিছু ২ লাখ ১৫ হাজার ৫১২ সিঙ্গাপুর ডলার জিডিপি নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ সিঙ্গাপুর। এছাড়া তালিকায় দেশটির উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক আধিপত্যও তুলে ধরা হয়েছে, যা দেশটিকে অন্যান্য দেশ থেকে এগিয়ে রেখেছে। ধনী দেশের এ তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লুক্সেমবার্গ। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ লাখ ৯৫ হাজার ১৪২ সিঙ্গাপুর ডলার। এদিকে ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৬৩ সিঙ্গাপুর ডলার মাথাপিছু জিডিপি নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কাতার। তাছাড়া তালিকায় চতুর্থ থেকে দশম ধনী দেশ হচ্ছে যথাক্রমে- আয়ারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সান মারিনো এবং ব্রুনাই। এই দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে বেশ ভালো অবস্থানে থাকার সত্ত্বেও জিডিপির পরিসংখ্যানে সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছে সিঙ্গাপুর। মূলত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অসাধারণ অর্থনৈতিক অবস্থান এবং ব্যতিক্রমী আর্থিক অবস্থান সিঙ্গাপুরকে এই তালিকায়র শীর্ষস্থান অর্জন করতে সহায়তা করেছে। ইনসাইডার মাঙ্কির রিপোর্টে সিঙ্গাপুরের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অবদান রাখার জন্য কয়েকটি মূল বিষয় উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে প্রথমত দেশ ও শহর উভয় হিসেবে এর অনন্য মর্যাদা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেই বিরল। এছাড়া দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় সিঙ্গাপুরের কৌশলগত অবস্থান দেশটিকে কনজিউমার ইলেক্ট্রনিকসসহ বিস্তৃত পণ্য পরিবহনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশটির এই অবস্থান তাকে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক ব্যাপক প্রবৃদ্ধির সহজতর করার পাশাপাশি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউস হিসেবে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এছাড়া প্রতিবেদনে সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক চিত্রের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, বিশ্বের মিলিয়নিয়ারদের অন্যতম বৃহৎ অংশই বাস করেন এই দেশে। এছাড়া সিঙ্গাপুরে দুর্নীতির হার খুবই কম হওয়ায় ব্যবসা ও বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে এর মর্যাদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।